ঢাকার ৭০ ভাগ মানুষের স্থায়ী ঠিকানা নেই
৫ অক্টোবর ২০১০বিশ্লেষকরা বলছেন আমরা এখন একটি বিস্ফোরন্মুখ বোমার উপর বসবাস করছি৷ দেখা দিতে পারে চরম সামাজিক অসন্তোষ ও গণরোষ৷
রাজধানীকে এখন ‘বস্তির নগরী' বলতে চান বিশ্লেষকরা৷ আর এসব বস্তিতে বসবাস করেন ঢাকার প্রায় ৫০ ভাগ মানুষ৷ যারা গরীব ও নিম্নবিত্ত৷ কিন্তু মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্তরাও ভালো নেই৷ তাঁরাও অনেকটা ঝরা পাতার মত এই নগরীতে ছুটে বেড়ান মাথা গোঁজার ঠাঁইয়ের খোঁজে৷ নগর পরিকল্পনাবিদ ড. নজরুল ইসলাম জানান, ঢাকার মাত্র ৩০ ভাগ মানুষের নিজস্ব মালিকানাধীন আবাসস্থল আছে৷ ৩০ ভাগ মানুষ ভাড়া বাড়িতে থাকেন৷ আর বাকি ৪০ ভাগ থাকেন বস্তিতে৷ স্থপতি ইকবাল হাবিব জানান, সারা দেশের চিত্রও মোটামুটি একই রকম৷ কারণ গ্রামের ৫০ভাগ মানুষ এখন ভূমিহীন৷ তাঁদেরও নিজস্ব কোন বসতবাড়ি নেই৷অন্যের জমিতে ঘর তুলে থাকেন৷
স্বাধীনতার পর দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৮০ ডলার৷ আর এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাতশো ডলারে৷ কিন্তু আয় বৈষম্যও বেড়েছে ব্যাপক - বললেন ড. নজরুল ইসলাম৷ তাঁর মতে বাংলাদেশ বিশ্বের সর্বাধিক আয় বৈষম্যের দেশ৷ ফলে আবাসন সংকট আরো চরম আকার ধারণ করেছে৷ যা ভয়ংকর পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে বলে আশংকা করেন স্থপতি ইকবাল হাবিব৷
এ অবস্থায় সামাজিক আবাসনের কথাই বলছেন বিশ্লেষকরা৷ যাতে সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ছোট আকারের ফ্ল্যাট তৈরি হবে৷ আর ভাড়ার বিপরীতে দাম শোধ করে ব্যবস্থা করতে হবে তাদের মালিকানা দেওয়ার৷
প্রতিবেদন : হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়