1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘‘ফেলানী রোড’’

১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩

ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসের সামনের রাস্তার নাম ‘‘ফেলানী রোড’’ করার দাবি উঠেছে৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তৈরি একটি পাতার মাধ্যমে এই দাবি তুলেছেন সাধারণ জনতা৷ ফেলানী রোড নামকরণের পক্ষে সোচ্চার অনেকে৷

https://p.dw.com/p/19gyh
A call went up on Facebook on Thursday asking the government to rename the road in front of the Indian High Commission in Dhaka to “Felani Road.” Felani was shot dead while she was trying to climb over the barbed wire fence along the Anantapur border point in Kurigram on January 7, 2011.
‘‘ফেলানী রোড’’ এর দাবিতে তৈরি হয়েছে ফেসবুক পাতা

ফেসবুক পাতাটি চালু হয় বুধবার৷ নাম: ঢাকায় ইন্ডিয়ান হাই কমিশনের সামনের রাস্তার নাম ‘‘ফেলানী রোড'' করা হোক৷ এই দাবির পক্ষে জনমত তৈরি হচ্ছে খুব দ্রুত৷ প্রথম ৪৮ ঘণ্টায় পাতাটির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন বিশ হাজারের বেশি মানুষ৷ সমর্থকের সংখ্যা খুব দ্রুতই বাড়ছে৷

ফেলানী রোডের দাবি নিয়ে চালু করা পাতাটি কে বা কারা পরিচালনা করছেন তা অবশ্য জানা যায়নি৷ তবে পাতাটি বেশ গোছানো, দাবিগুলোও পরিষ্কার৷ গতকাল প্রকাশিত এক পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘‘সরকার নাম দিক বা না দিক, আজ থেকে গুলশান-১ এর ১৪২ নাম্বার রোডের নাম ফেলানী রোড!'' ভারতীয় দূতাবাসের ওয়েবসাইটের একটি স্ক্রিনশটসহ এক পোস্টে পাতাটির মডারেটর লিখেছেন, ‘‘আমরা দেখতে চাই ইন্ডিয়ান হাই কমিশনের ওয়েবসাইটে এভাবে লেখা থাকবে ফেলানী রোড৷''

এই নামকরণের পক্ষে বিভিন্ন যুক্তিও প্রকাশ করা হয়েছে পাতায়৷ এক পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘‘বেইলি রোডের নামতো বেইলি রোড না৷ ঐটা নাটক সরণি৷ সরকার সে নাম দিয়েছে৷ সেই নাম ক'জনে ডাকে? আমরা সবাই বেইলি রোড ডাকি৷ অতএব সরকার দেয়ার চেয়েও আমাদের সেই নাম ডাকায় অভ্যস্ত হওয়া কম গুরুত্বপূর্ণ নয়৷ তাই চলুন, আজ থেকে শুটিং ক্লাবের সামনে থেকে গুলশান-১ পর্যন্ত রাস্তাটার নাম ‘ফেলানী রোড'৷ সরকার দিক বা না দিক, আমরা সেটাকে ‘ফেলানী রোড' ডাকব৷''

এদিকে, ফেলানী রোড নিয়ে সরকারের তরফ থেকে এখনো কিছু জানা না গেলেও গুগল ম্যাপস এক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে গেছে৷ ইতোমধ্যে এই ইন্টারনেট জায়ান্টের মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে ‘‘ফেলানী রোড৷'' ইংরেজিতে ম্যাপস.গুগল.ডটকম ঠিকানায় ফেলানী রোড, ঢাকা লিখে সার্চ করলে ঢাকার ভারতীয় দূতাবাসের সামনের সড়কটি দেখাচ্ছে৷

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানী খাতুন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত হয়৷ এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায়ে অভিযুক্তকে নির্দোষ বলেছে ভারতের আদালত৷ বাংলাদেশ সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ঘোষণা দিয়েছে৷

সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য