ডয়চে ভেলের ৬০ বছর
দেখতে দেখতে ৬০ বছর পার করলো ডয়চে ভেলে৷ দিনে রাতে সবসময় কাজ করতে হয় ডয়চে ভেলের কর্মীদের৷ কারণ বন শহরে যখন সন্ধ্যা নামে, সিডনিতে তখন সকাল!
‘আপনি শুনছেন ডয়চে ভেলে........’
ইথিওপিয়ার আমহারিক ভাষায় শ্রোতাদের এই কথাটা জানাচ্ছেন লিডেট আবেবে৷ আমহারিক সহ ৩০টি ভাষার দর্শক, শ্রোতা ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সংলাপ করে যাচ্ছে ডয়চে ভেলে৷
বসে নেই কর্মীরা
দিনে রাতে সবসময় কাজ করতে হয় ডয়চে ভেলের কর্মীদের৷ কারণ বন শহরে যখন সন্ধ্যা নামে, সিডনিতে তখন সকাল!
বাকস্বাধীনতার পক্ষে
ডয়চে ভেলের চীনা বিভাগের প্রধান মাথিয়াস ফন হাইন (বামে) চীনা লেখক, সাংবাদিক ও চীনা সরকারের সমালোচক লিয়াও ইয়ুর (ডানে) সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন৷ এভাবে যাঁরা নিজ দেশে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারেন না, তাঁদের প্রাণ খুলে কথা বলার সুযোগ করে দেয় ডয়চে ভেলে৷
নিজের ডেস্কে বসেই সম্পাদনা
একটি সাক্ষাৎকার নেয়ার পর সেটা প্রচার উপযোগী করার কাজটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে নিজের কম্পিউটারেই সেরে নিচ্ছেন উর্দু ভাষার কর্মী কিশওয়ার মুস্তফা৷ এরকম আরও অনেক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ডয়চে ভেলে৷
‘লার্নিং বাই ইয়ার’
বেতার নাটকের মাধ্যমে এইডস সহ বিভিন্ন বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে উদ্যোগ নিয়েছে ডয়চে ভেলে৷ এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এ ধরণের অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছে৷
সরাসরি অনুষ্ঠান শুরুর আগে
আর মাত্র ৩০ সেকেন্ড পরই সরাসরি অনুষ্ঠান শুরু হবে৷ তাই প্রস্তুত পরিচালক থেকে শুরু করে স্টুডিও টেকনিশিয়ানরা৷
দর্শক, শ্রোতাদের বুঝিয়ে বলা
জার্মানিতে আবর্জনা ব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্রাজিলের দর্শক, শ্রোতাদের বোঝানোর উপায় বের করছেন নাদিয়া পোন্টে ও রাফায়েল অলিভিয়েরা৷ এরপর সেটা ওয়েবসাইটে দেয়া হচ্ছে৷ এভাবে ৩০টি ভাষার ওয়েবসাইট তৈরি হয়৷
ব্লগ প্রতিযোগিতা
ব্লগারদের উৎসাহিত করতে ডয়চে ভেলে ২০০৪ সাল থেকে বিভিন্ন ভাষায় ব্লগ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে৷ ছবিতে ২০১২ সালের প্রতিযোগিতায় একজন বিজয়ীকে দেখা যাচ্ছে৷
ডয়চে ভেলে অ্যাকাডেমি
সাংবাদিকতা শিক্ষার প্রসারেও কাজ করছে ডয়চে ভেলে৷ এজন্য স্থাপন করা হয়েছে ডিডাব্লিউ অ্যাকাডেমি৷ প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সাংবাদিকরা হাতে কলমে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিতে এখানে আসেন৷ এছাড়া চালু করা হয়েছে সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম৷
‘গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম’
যুদ্ধ-বিগ্রহ, শিক্ষা, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বৈশ্বিক আলোচনা করতে প্রতি বছর বন শহরে আয়োজন করা হয় গ্লোবাল মিডিয়া ফোরাম৷ এবার জুন মাসের ১৭ থেকে ১৯ পর্যন্ত এই ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে যার বিষয় ‘দ্য ফিউচার অব গ্রোথ – ইকনোমিক ভ্যালুস অ্যান্ড দ্য মিডিয়া৷’
বাংলা বিভাগ
ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগ চালু হয় ১৯৭৫ সালে৷ সেসময় শর্ট ওয়েভে অনুষ্ঠান প্রচারিত হতো৷ এরপর ২০১০ সাল থেকে এ বছরের মার্চের ৮ তারিখ পর্যন্ত এফএম ব্যান্ডে অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়৷ এখন ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ডয়চে ভেলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘অন্বেষণ’ একুশে টেলিভিশনে নিয়মিত প্রচারিত হচ্ছে৷