৩রা মে ২০১৩ ডয়চে ভেলে প্রতিষ্ঠার ৬০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সমস্ত প্রযোজক, প্রযোজিকা, সংবাদদাতা ইঞ্জিনিয়ারসহ ডয়চে ভেলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব শুভানুধ্যায়ীকে জানাই এক গুচ্ছ লাল গোলাপের রক্তিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন৷
একদিন জার্মানির কোলন শহর থেকে ‘ইথারে অম্বরে' যে বেতার পরিষেবার সূচনা হয়েছিল, বিশ্বায়িত সংবাদ দুনিয়ায় নানাভাবে বিকশিত হয়ে সে আজ আমাদের গর্বের সবার প্রিয় ডয়চে ভেলে৷ সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আজ ডয়চে ভেলের উজ্জ্বল উপস্থিতি ওয়েবসাইটের আলোকিত দুনিয়ায়, টেলিভিশনের পর্দায় আর ফেসবুকের রঙিন পাতায়৷ আমি আমার জীবনের ৪৩টি বসন্ত পার করেছি গত ২১শে ফেব্রুয়ারি৷ আর আমার এই জীবনের ২৭টি বছর ধরে ডয়চে ভেলে জড়িয়ে আছে ওতপ্রোতভাবে৷ গত ২৭ বছর ধরে ডয়চে ভেলের খোলা জানালা দিয়ে আমি উঁকি মেরে চলেছি আমার স্বপ্নের দেশ জার্মানির কোলন থেকে বন শহরে৷
আমি মনে করি ডয়চে ভেলের আবেদন যেমন সুশীল সমাজের ব্রাউজিং-এ অভ্যস্ত আলোকিত নাগরিকের কাছে, ঠিক ততটাই ভারত-বাংলাদেশের গ্রামীণ মানুষের মেঠো জীবনে৷ তার বড়ো কারণ আপনাদের নিরলস প্রচেষ্টায় আমরা প্রতিদিনই উপহার পাচ্ছি একটা নতুন পৃথিবী, আমাদের মাতৃভাষায়৷ মাল্টিমিডিয়ার আধুনিক চালচিত্রে ডয়চে ভেলে আজ এক আধুনিক গ্লোবাল ভিলেজ, যেখানে আমরা পাই জার্মানিসহ গোটা বিশ্বের প্রাণস্পন্দন৷ আর তাই আমি ডয়চে ভেলেকেই ‘করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা৷' আমি আপনাদের কাছে অঙ্গীকার করছি ডয়চে ভেলে আমার জীবনের কানায় কানায় জড়িয়ে থাকবে, চিতার অগ্নিদহনে জীবনের সমপানান্তে৷
ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও নমস্কার জানিয়ে শেষ করছি৷ এভাবেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পুরনো বন্ধু রবিশংকর বসু, সম্পাদক, নিউ হরাইজন রেডিও লিসনার্স ক্লাব, বমনগর, আঁটপুর, হুগলী পশ্চিমবঙ্গ, ভারত থেকে৷
৬০ বছরের ডয়চে ভেলেকে স্বাগত জানাচ্ছি৷ আস্তে আস্তে ডয়চে ভেলে বুড়িয়ে যাচ্ছে আর সাথে সাথে তার আত্মীয়-স্বজনদের ছেড়ে দিচ্ছে৷ ভুলে যাচ্ছে সব পুরনো স্মৃতি আর কথা৷ ভালো থাকুক ডয়চে ভেলে নিজের মতো করে৷ শুভ কামনায়, মো. সোহেল রানা হৃদয়, ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা৷
প্রিয় ডয়চে ভেলেকে শুভকামনা জানাচ্ছি তার ৬০তম প্রচার বার্ষিকীতে৷ আমরা শ্রোতারা পরিবর্তিত মাধ্যমগুলোতে ডয়চে ভেলেকে আগামী দিনগুলোতে সঙ্গে পাবো আশা করি – মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, উথালী বাজার, চুয়াডাঙ্গা৷
- আরো অনেক পাঠক বন্ধু ডয়চে ভেলের ৬০তম জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ৷
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ