ড্যুসেলডর্ফকে ভালোবাসার পাঁচ কারণ
ড্যুসেলডর্ফ ফ্যাশনেবল, কসমোপলিটন এবং আঞ্চলিকভাবে দেশপ্রেমী৷ শহরটি বৈপরীত্য ভালোবাসে৷ চলুন জার্মানির নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের রাজধানী থেকে ঘুরে আসি৷
মিডিয়াহাফেন - মিডিয়া হার্বার
জার্মানির তৃতীয় বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ পোর্ট ড্যুসেলডর্ফে৷ নব্বইয়ের দশকে রাইন হার্বারের কিছু অংশে অফিস আদালত তৈরি করা হয়৷ বিশ্বের নামকরা কয়েকজন স্থপতি এখানে আধুনিক কয়েকটি অভিনব ভবন তৈরি করেন৷ মিডিয়া হার্বার এখন শহরের ল্যান্ডমার্কে পরিণত হয়েছে৷
শিল্পকলার জগত
শিল্পকলা প্রেমীরা ২৬টি মিউজিয়াম (ছবিতে কুন্সটসামলুং এনআরডাব্লিউ দেখা যাচ্ছে) এবং একশোর বেশি গ্যালারি থেকে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন৷ আমাদের পরামর্শ হচ্ছে ভবিষ্যতের প্রতিভাদের দেখতে চাইলে ড্যুসেলডর্ফ আর্ট একাডেমিতে চলে যান৷ সেখানে বছরে একবার শিক্ষার্থীরা তাঁদের গ্র্যাজুয়েশন ওয়ার্ক দেখান৷
কার্নিভাল
কোলন এবং মাইন্সের সঙ্গে ড্যুসেলডর্ফ হচ্ছে জার্মানির তিনটি বড় কার্নিভাল হাবের একটি৷ প্রতিবছরের ১১ নভেম্বর ১১টা বেজে ১১ সেকেন্ডে কার্নিভালের ঘোষণা দেয়া হয়৷ শুরুতে ঘরের মধ্যে এটি উদযাপন করা হলেও তা রাস্তায় ছড়িয়ে যেতে বেশি সময় লাগে না৷
জাপান ডে
জার্মানিতে জাপানি কমিউনিটির একমাত্র আবাস হচ্ছে ড্যুসেলডর্ফ৷ ইউরোপের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম জাপানি কমিউনিটির অবস্থান শহরটিতে৷ বছরে একবার তারা উৎসব করেন৷ জাপান ডে’তে শহরটিতে পাঁচ লাখের বেশি মানুষের সমাগম ঘটে৷
রাইন নদী
এটা ছাড়া ড্যুসেলডর্ফ কেমন হতো? রাইন নদী শহরটির লাইফলাইন এবং সেটা সব অর্থেই৷ নদীর একপাশে প্রশস্ত রাস্তা তৈরি করা হয়েছে যেখান থেকে রাইনকে ভালোভাবে উপভোগ করা যায়৷ আর অন্যপাশে রয়েছে দীর্ঘ সবুজ তৃণভূমি এবং নদীর কিনারে ছোট ছোট বাঁধ৷