1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডোপিং কেলেংকারিতে পাঁচ ভারতীয় অ্যাথলিট

৩ সেপ্টেম্বর ২০১০

প্রতিটি বড় খেলার আগে খেলোয়াড়দের ড্রাগ টেস্ট করাটা এখন বাধ্যতামূলক৷ নিষিদ্ধ বলবর্ধক ঔষুধ কিংবা দম ধরে রাখার জন্য অসৎ পথের আশ্রয় নেন খেলোয়াড়রা৷ ভারতের পাঁচ অ্যাথলিট সেই কাজই নাকি করেছিলেন৷

https://p.dw.com/p/P3dK
কমনওয়েলথ গেমস দিল্লি এর মাস্কটছবি: UNI

আর এ জন্য আগামী মাসে কমনওয়েলথ গেমস থেকে তাঁদেরকে বলে দেয়া হলো, বিদায় বন্ধু, বিদায়৷

এবারের কমনওয়েলথ গেমসের স্বাগতিক দেশ ভারত৷ রাজধানী দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে বিশাল এই যজ্ঞ৷ আর এ জন্য পুরোপুরি ঢেলে সাজানো হয়েছে সব কিছু৷ খেলোয়াড়দের দম ফেলার সময় নেই৷ স্বাগতিক দেশকে ভালো করতে হবে, আর এ জন্য চলছে কঠোর প্রশিক্ষণ৷

খেলার তো আর মাস খানেক বাকি৷ তাই নিয়ম অনুসারে ভারতের ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা নাডার কর্মকর্তারা খেলোয়াড়রা নিষিদ্ধ কোন ড্রাগ গ্রহণ করছেন কিনা তা পরীক্ষা শুরু করেছেন৷ একের পর এক যাচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিক্ষণ শিবিরে৷ এ রকম এক পরীক্ষার সময়ে নাডার বিশেষজ্ঞরা চারজন কুস্তিগির আর একজন সটপাট খেলোয়াড়ের দেহে পেয়েছেন নিষিদ্ধ ওষুধের অস্তিত্ব৷ এদের মধ্যে একজন আছেন মহিলা কুস্তিগীর, নাম গুরশরণপ্রীত কাউর৷ কলংকের তিলক পরা অন্য খেলোয়াড়রা হলেন, রাজীব টোমার, সুমিত কুমার, মৌসম খেত্রি৷ এদের সকলের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ মিথাইল হেক্সা নিয়ামাইন ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে৷

কিন্তু যাকে নিয়ে এই বিষয়টি সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছে, সে হল রাজীব৷ এই কুস্তিগীর কয়েকদিন আগে ভারতের অন্যতম ক্রীড়া পদক অর্জুন পুরস্কারধারী৷ আর এই পঞ্চ খেলোয়াড়ের সকলেরই নাকি সম্ভাবনা ছিল সোনা জেতার!

অক্টোবরের ৩ তারিখে শুরু হবে কমনওয়েলথ গেমস৷ খেলার আগে কয়েকটি নির্মাণকাজ নিয়ে দুর্নীতির খবর বেশ চাউর চারিদিকে৷ আর এ নিয়ে একটা বড়সর দাঁও মারার জন্য ধারে শান দিচ্ছেন রাজনীতিবিদরা৷ ঠিক একই সময়ে ডোপিং কেলেংকারির খবরে ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়