1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ডি আর কঙ্গোতে ট্যাঙ্কার ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহত ২২০

৩ জুলাই ২০১০

মধ্য আফ্রিকার দেশ ডি আর কঙ্গোতে তেলের ট্যাঙ্কার ট্রাক দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২২০ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷ আর আহত হয়েছে শতাধিক৷

https://p.dw.com/p/O9sx
এধরণের ট্যাঙ্কার ট্রাকে দুর্ঘটনাটি ঘটেছেছবি: AP

শুক্রবার রাত৷ চলছে ঘানা বনাম উরুগুয়ের ম্যাচ৷ আফ্রিকার একমাত্র দেশ খেলছে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে৷ তাই আর সবার মতো উৎসাহ নিয়ে টিভি সেটের সামনে হাজির সাঙ্গে গ্রামের লোকজন৷ ঠিক এসময় একটি তেলের ট্যাঙ্কার ট্রাক উল্টে যায় গ্রামটির কাছে এসে৷ বেরিয়ে যেতে থাকে ট্রাকে থাকা তেল৷ ছড়িয়ে পড়তে থাকে পুরো গ্রামে৷ বিনা পয়সায় তেল পেতে কয়েকজন গ্রামবাসী ছুটে আসেন তেল চুরি করতে৷ এমন সময় ঘটে বিস্ফোরণ৷ তাই সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে৷ ফলে মারা যান কমপক্ষে ২২০ জন৷ আর আহত হন একশো'রও বেশি৷ জাতিসংঘ জানিয়েছে এ তথ্য৷ তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ কারণ উদ্ধার তৎপরতা এখনো চলছে৷

এদিকে শুরুতে জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত পাকিস্তানের পাঁচ সদস্যের মৃত্যুর খবর জানানো হলেও পরে তা ঠিক নয় বলে জানায় সংস্থাটি৷

সাঙ্গে গ্রামের বেশিরভাগ বাড়িই মাটি আর খড়কুটো দিয়ে তৈরি হওয়ায় আগুনে সেগুলো পুড়ে গেছে৷ নিহতদের মাঝে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্সেলিন সিসাম্ভো৷ তিনি দক্ষিণ কিভু প্রদেশের গভর্ণর৷ সেখানরকারই একটি গ্রাম সাঙ্গে৷ যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে৷ মূলত সেনাসদস্যদের পরিবারেরা থাকেন ঐ গ্রামটিতে৷ এখন সেখানে চলছে শোকের মাতম৷ দক্ষিণ কিভু প্রদেশের ভাইস গভর্ণর জ্যা ক্লদ কিবালা বলছেন, দুর্ঘটনাস্থলের অবস্থা খুবই করুন৷ রাস্তায় পড়ে আছে সারি সারি লাশ৷ গ্রামবাসীরা শোকে কেউ কোনো কথা বলছেনা৷ তিনি বলেন, জাতিসংঘের সাহায্য নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে৷

এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই জাতিসংঘ মিশনের তিনটি হেলিকপ্টার উদ্ধারকাজে নেমে পড়ে৷ আহতদের ভর্তি করা হয়েছে নিকটবর্তী হাসপাতালগুলোতে৷ এছাড়া হেলিকপ্টারে করে গ্রামবাসীদের সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে৷

কিন্তু কীভাবে ঘটলো এই দুর্ঘটনা? স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, চালক অনেক জোরে চালাচ্ছিলেন ট্যাঙ্কারটি৷ তাই হঠাৎ করেই তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন৷ তবে যে এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানকার রাস্তাঘাটের অবস্থা বেশ খারাপ বলে জানা গেছে৷ কারণ কয়েক বছর ধরে ঐ অঞ্চলে যুদ্ধ চলায় রাস্তাঘাটের অবস্থা করুন হলেও এখনো তা ঠিক করা হয়নি৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম