1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শুরু হলো রোহিঙ্গাদের গণনা

১ মার্চ ২০১৭

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের গণনা শুরু করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ৷ বসবাসের অনুপোযোগী এক দ্বীপে তাঁদের সরিয়ে নেয়ার লক্ষ্য এই গণনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা৷

https://p.dw.com/p/2YRDD
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/T. Chowdhury

বাংলাদেশ সরকারের পরিসংখ্যান কর্মকর্তারা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে কাজ শুরু করেছেন৷ প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিপীড়নের শিকার হয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ধারণে কাজ করছেন তাঁরা৷

বাংলাদেশ পরিসংখ্যা ব্যুরোর কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমান এই বিষয়ে বলেন, ‘‘প্রাথমিকভাবে ক্যাম্পে এবং ক্যাম্পের বাইরে অবস্থানরত মিয়ানমারের নাগরিকদের পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করবো আমরা৷ এরপর তাদের গণনা শুরু হবে৷’’

এই আদমশুমারির অন্যতম লক্ষ্য যে রোহিঙ্গাদের বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা ঠ্যাঙ্গারচরে স্থানান্তর, সেকথা ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে নিশ্চিত করেছেন রহমান৷

কক্সবাজারের প্রধান প্রশাসক আলী হোসেন জানিয়েছেন, গণনার কাজ শেষ করতে অন্তত তিনমাস লাগবে এবং তা সরকারের উদ্যোগে সহায়ক হবে৷

বর্তমানে চারলাখের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে বসবাস করছে যাদের মধ্যে সম্প্রতি আসা ৭৩,০০০ শরণার্থীও রয়েছে যাঁরা রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর মিয়ানমার ত্যাগ করেছেন৷

বাংলাদেশ সরকার গতমাসে রোহিঙ্গাদের ঠ্যাঙ্গারচরে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়, যদিও দ্বীপটি বন্যাপ্রবণ৷ একাধিক মানবাধিকার সংস্থা রোহিঙ্গাদের মাত্র কয়েকবছর আগে জেগে ওঠা দ্বীপটিতে সরিয়ে না নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে৷ তবে সরকার তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা চেয়েছে৷

এদিকে, ছয় হাজার একর আয়তনের ঠ্যাঙ্গারচরে একটি জেটি, হেলিপ্যাড এবং ভিজিটর ফ্যাসিলিটিস তৈরির নির্দেশ দিয়েছে সরকার৷ তবে এই মুহূর্তে সেখানে কোনো জনবসতি নেই বলে জানা গেছে৷

এআই/ডিজি (এএফপি)

প্রিয় পাঠক, রোহিঙ্গাদের ঠ্যাঙ্গারচরে পাঠানোর বিষয়ে আপনার মতামত জানাতে পারেন নীচে মন্তব্যের ঘরে...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য