ট্রেনের ছাদে যাতায়াত বন্ধে মুম্বইতে বিশেষ ব্যবস্থা
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০এই যেমন, সরকারেরই এক হিসেবে দেখা গেছে, ২০০৮ সালে শুধু মুম্বইতেই প্রতিদিন ১৭ জন মানুষ মারা গেছে৷
অবশ্য যারা প্রাণ হারায়, তাদের অনেকেই মারা যায় দরজার বাইরে ঝুলে অথবা লাইন পার হতে গিয়ে৷ তবুও, এবার বোধ হয় ছাদে ভ্রমণ বন্ধ হতে পারে৷ কারণ, ওয়েষ্টার্ন রেলওয়ে কোম্পানি জানিয়েছে, শহরের পশ্চিমাঞ্চলে তাদের পরিচালিত ৬০ কিলোমিটার রেল লাইনের প্রায় ৩০ কিলোমিটারের উপর ২৫,০০০ ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছে৷ এর মানে হলো, ঐ বিদ্যুত লাইনের সাড়ে ছয় ফুটের মধ্যে কোনো মানুষ আসলেই সে বিদ্যুতায়িত হবে৷
লাইন বসানোর কাজ এ বছরের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানা গেছে৷ ইতিমধ্যে, এ ব্যাপারে জনগণকে সতর্ক করার কাজ শুরু হয়ে গেছে৷ প্রতিটি স্টেশনে নাটক মঞ্চায়নের মাধ্যমে এ তথ্য ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে৷ এছাড়া টেলিভিশনে এ সম্পর্কিত বিজ্ঞাপনের প্রচারও শুরু হয়েছে৷
উল্লেখ্য, প্রায় এক কোটি ৮০ লক্ষ মানুষের নগরী মুম্বইয়ের রাস্তায় অত্যধিক যানজটের কারণে সেখানকার অধিবাসীরা চলাচলের জন্য সাধারণত ট্রেন ব্যবহার করে থাকে৷ ´লোকাল` বলে পরিচিত এসব ট্রেনে যাত্রীরা কম সময়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছুতে পারে৷
তবে এত যাত্রীর জন্য ট্রেনের সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় কখনো কখনো সংখ্যার চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি যাত্রী বহন করতে হয় ট্রেনগুলোকে৷ ফলে ভিতরে জায়গা না পেয়ে অনেকে ট্রেনের দরজায় ঝুলে দাঁড়িয়ে থাকে৷ এতে অনেক সময় লাইনের পাশে থাকা বিদ্যুতের থামের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে অনেকের মৃত্যু ঘটে৷
ওয়েষ্টার্ন রেলওয়ে কোম্পানির একজন মুখপাত্র এস এস গুপ্তা বলছেন, সাধারণত ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী লোকজন ছাদে বেশি ভ্রমণ করে থাকে৷
উল্লেখ্য, ভারতে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ৷ ধরা পড়লে এক মাসের জেল বা ৫০০ রুপি জরিমানা হতে পারে৷ কিন্তু আইনের প্রয়োগ না থাকায় যাত্রীদেরকে ছাদে ভ্রমণ থেকে বিরত রাখা যাচ্ছেনা৷
তবে এস এস গুপ্তা বলছেন, এ ধরণের যাত্রীদের ধরতে এখন থেকে রেলওয়ে পুলিশের কার্যক্রম বাড়ানো হবে৷ তাছাড়া তিনি আশা করছেন, তাদের চালানো প্রচারণাও মানুষকে সচেতন করতে সমর্থ হবে৷
প্রতিবেদকঃ জাহিদুল হক
সম্পাদনাঃ অরুণ শঙ্কর চৌধুরী