1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্প-পুটিন সম্পর্ক

১৯ জুলাই ২০১৭

বিশ্বের দুই প্রধান শক্তিশালী নেতা গোপনে আলোচনা করেছেন, এমনটা বিশ্বাস করা কঠিন৷ হামবুর্গে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে বাকি নেতাদের চোখের সামনেই ট্রাম্প ও পুটিন এমন এক ‘গোপন' বৈঠক করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷

https://p.dw.com/p/2glgN
পুটিন ও ট্রাম্প
ছবি: picture alliance/dpa/M. Singer/K. Ruke

২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ এবং বিভিন্ন ভাবে ট্রাম্প শিবিরকে সহায়তার অভিযোগের তির বার বার উঠছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে৷ জার্মানির হামবুর্গ শহরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন যখন প্রথমবার মিলিত হলেন, সেই প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছিল৷ সেই বৈঠকে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে দুই নেতা প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে কথা চালিয়ে গিয়েছিলেন৷ এবার সেই সম্মেলনে দুই নেতার আরও একটি বৈঠক নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু হয়ে গেছে৷

গত ৭ই জুলাই বিশ্বের ১৮ জন শীর্ষ নেতার চোখের সামনে এই দুই নেতা কীভাবে ‘নিভৃতে' প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক করলেন? ইউরেশিয়া গ্রুপ নামের এক প্রতিষ্ঠানের প্রধান আয়ান ব্রেমার প্রথম এই ঘটনার উল্লেখ করেন৷

ব্রেমারের বয়ান অনুযায়ী, উপস্থিত বিশ্বনেতা ও তাঁদের জীবনসঙ্গীদের জন্য নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ সে সময় ট্রাম্প নির্ধারিত আসন ছেড়ে পুটিনের পাশে গিয়ে বসেন৷ সেই আসনটি ট্রাম্প-পত্নী মেলানিয়ার জন্য নির্ধারিত ছিল৷  সে সময়ে একমাত্র পুটিন-এর দোভাষী উপস্থিত ছিলেন৷ অর্থাৎ কোনো মার্কিন কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন না৷ ফলে তাঁরা কী নিয়ে কথা বলেছিলেন, তা জানা যায়নি৷ তাছাড়া এই আলোচনা যে আদৌ ঘটেছে, সে বিষয়টিও এতদিন গোপন রাখা হয়েছিল৷ নৈশভোজে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তার মতে, ট্রাম্প ও পুটিনের দীর্ঘ অন্তরঙ্গ আলোচনা দেখে উপস্থিত নেতারা বিস্মিত হয়েছিলেন৷

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুটিনের সঙ্গে তাঁর ‘দ্বিতীয়' বৈঠকের অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন৷ এমন ‘ফেক নিউজ' বা ভুয়া খবর সম্পর্কে তিনি চরম বিরক্তি প্রকাশ করেন৷

ঘোষিত নৈশভোজকে এমন নেতিবাচকভাবে তুলে ধরার প্রচেষ্টারও সমালোচনা করেন ট্রাম্প৷

চাপের মুখে হোয়াইট হাউস এই দ্বিতীয় আলোচনার কথা কার্যত স্বীকার করেছে বটে, কিন্তু সেটিকে আনুষ্ঠানিক বৈঠক বলতে তারা প্রস্তুত নয়৷ উপস্থিত নেতারা নিজেদের ইচ্ছামতো পরস্পরের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ ট্রাম্পও অনেক নেতার সঙ্গে আলোচনার পর পুটিনের কাছে গিয়েছিলেন৷ হোয়াইট হাউস আরও দাবি করেছে, যে নৈশভোজে প্রত্যেক নেতার একজন করে দোভাষী উপস্থিত ছিলেন৷ ট্রাম্প জাপানিভাষী দোভাষীকে সঙ্গে রাখায় পুটিনের সঙ্গে আলোচনার সময় তাঁকে পুটিনের দোভাষীর উপর নির্ভর করতে হয়েছিল৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য