ট্রাম্পের ভাষায় ট্রাম্পকে জব্দ!
২৬ জানুয়ারি ২০১৭অন্য সব মাধ্যমেও যে তা অসংখ্যবার দেখা হয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷ নেদারল্যান্ডসে লেখক, কমেডিয়ান এবং টেলিভিশন উপস্থাপক আরিয়েন লুবাচ ভীষণ জনপ্রিয়৷ তার ওপর ভিডিওতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্টকে নিয়ে তিনি যেভাবে ঠাট্টা-মশকরা করেছেন তা একেবারেই ব্যতিক্রমী৷ কোথাও একটিও আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ করেননি, কৌতুকের নামে ভাঁড়ামোও করেননি একদম৷ ট্রাম্পকে তাঁর বিতর্কিত বক্তব্য এবং সিদ্ধান্তের জন্য কটাক্ষ করতে গিয়ে স্থূল কৌতুক না করে যা করেছেন তাতে রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয়ই রেখেছেন কমেডিয়ান হিসেবেই বেশি জনপ্রিয় আরিয়েন লুবাচ৷
টেলিভিশনে ‘সনডাগ মেট লুবাচ' বা ‘সানডে উইথ লুবাচ' নামের একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন আরিয়েন লুবাচ৷ সেই অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি এ ভিডিওতে মূলত ট্রাম্প যে উগ্র জাতীয়তাবাদকে পুঁজি করে ক্ষমতায় এসেছেন সেই বিষয়টিকেই নানাভাবে কটাক্ষ করা হয়েছে৷ ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল গড়া হবে৷ ভিডিওতে এ সিদ্ধান্তকে হাস্যকর প্রমাণ করতে গিয়ে দাবি করা হয়, নেদারল্যান্ডসও মেক্সিকোর পানি থেকে নিজেকে বাঁচাতে (সাগরে) দেয়াল (বাঁধ) গড়েছে৷ ট্রাম্প যে অভিষেক ভাষণে বলেছেন, ‘‘আজ থেকে অ্যামেরিকা প্রথম'', সে কথার জবাবে ভিডিওতে দাবি করা হয়, ইউরোপের খুব ছোট দেশ হলেও নেদারল্যান্ডসও কিন্তু খুব একটা কম নয়৷
ডাচ ভাষাকে ইউরোপের সেরা দাবি করে ভিডিওতে বলা হয়, ‘‘আমরা ডাচ ভাষায় কথা বলি৷ এটা ইউরোপের সেরা ভাষা৷ সব সেরা শব্দই আমাদের ভাষায় আছে৷ অন্য কোনো ভাষায় তা নেই৷''
নেদারল্যান্ডস কেন পর্যটকদের কাছে এত আকর্ষণীয়? কারণ নাকি সে দেশে টাট্টু ঘোড়ার পার্ক আছে৷ এমন মিনিয়েচার শহরও নাকি আছে যা শুধু দূর থেকেই দেখা ভালো৷
আরো অনেক অদ্ভুত অদ্ভুত জিনিসই নাকি আছে নেদারল্যান্ডসে৷ ভিডিওতে সেরকমই দাবি করা হয়েছে৷ সবচেয়ে জোরালো যে দাবি তা হলো, ‘‘মি. ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রে যেমন ট্রাম্প টাওয়ার আছে, তেমনি আমাদের আছে লি টাওয়ার্স৷''
মজার ব্যাপার হলো, লি টাওয়ার্স কিন্তু একজন শিল্পী, তিনি টাওয়ার নন বা তাঁর নামেও কোনো টাওয়ার নেই৷
ভিডিওর শেষে ট্রাম্পকে একটা অনুরোধ করা হয়েছে৷ অনুরোধটা হলো, ট্রাম্প যদি যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথম স্থানে রাখেন, অর্থাৎ বিশ্বের সব দেশের সেরা ভাবেন, তাহলে নেদারল্যান্ডসকে দ্বিতীয় স্থানটা দিতে যেন কিছুতেই ভুল না করেন৷
এসিবি/ডিজি