ট্যুর দ্য ফ্রান্সের শিরোপা এবারও কনটাডোরের হাতে
২৬ জুলাই ২০১০এর আগে ২০০৬ সালে ট্যুর দ্য ফ্রান্স প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন স্পেনের অস্কার পেরেইরো৷ পরের বছর এই কনটাডোর তা ধরে রাখেন৷ ২০০৮ সালে স্বদেশী কার্লোস সাস্ত্রের কাছে তা হাতছাড়া করেন৷ এরপর গত দুই বছরে তা নিজের কাছে ধরে রেখেছেন আলবার্টো কনটাডোর৷ রোববার প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্যায় শেষে লুক্সেমবার্গের অ্যান্ডি শ্লেককে মাত্র ৩৯ সেকেন্ডের ব্যবধানে হারিয়ে দেন তিনি৷ তৃতীয় অবস্থানটি গেছে রাশিয়ার ডেনিস মেনচোভের কাছে, যিনি কনটাডোরের চেয়ে দুই মিনিট এক সেকেন্ড পেছনে ছিলেন৷
জয়ের পর উৎফুল্ল কনটাডোর বলেন, আমি খুবই খুশি এই জয়ে৷ কয়েকদিন ধরে আমার ওপর বেশ ধকল গেছে শারীরিক এবং মানসিক উভয় দিক দিয়েই৷ গোটা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে চ্যাম্পিয়নের হলুদ জার্সিটি নিজের করে নিলেন এই ২৭ বছর বয়সী স্প্যানিশ৷ গত সোমবারই তিনি এগিয়ে গিয়েছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ডি শ্লেকের চেয়ে৷ বেচারা শ্লেকের সাইকেলের চেইনে সমস্যা দেখা দিলে বেশ খানিকটা এগিয়ে যান কনটাডোর৷ তবে সান্ত্বনা রয়েছে শ্লেকের জন্যও৷ প্রতিযোগিতার সেরা অনূর্ধ্ব-২৫ সাইক্লিস্ট হিসেবে সাদা জার্সিটি পেয়েছেন তিনি৷ এরপরও জানিয়েছেন, হাল ছাড়ছেন না তিনি৷ এবার তেমন ভালো করতে পারেননি, কিন্তু আগামী বছরে ঠিকই হলুদ জার্সিটি আদায় করে নেবেন৷
এদিকে এবারের প্রতিযোগিতায় দর্শকদের আরও একদিকে নজর ছিল৷ তা হলো সাতবারের চ্যাম্পিয়ন ল্যান্স আর্মস্ট্রং এর বিদায়৷ রোববার প্রতিযোগিতায় ২৩তম হয়ে ট্যুর দ্য ফ্রান্স থেকে বিদায় নিলেন এই চ্যাম্পিয়ন সাইক্লিস্ট৷ তবে বিদায়ের আগে একটি ঘটনা ঘটিয়ে গেছেন এই ৩৮ বছর বয়সী সাইক্লিস্ট৷ রোববার রেসের আগে তাঁর দলের সব খেলোয়াড়রা কালো রেডিওশ্যাক জার্সি পরে নামেন, এবং প্রত্যেকের জার্সির নম্বর ছিল ২৮৷ মূলত গোটা বিশ্বে বর্তমানে যে ২৮ মিলিয়ন ক্যান্সার রোগী রয়েছেন তাদের স্মরণ করতেই এই অভিনব উদ্যোগ নেন আমস্ট্রং ও তাঁর সহখেলোয়াড়রা৷ কিন্তু আয়োজকরা বাধা দিলে ১৫ মিনিট দেরিতে রেস শুরু হয়৷ পরে অবশ্য প্রতিযোগিতার সবচেয়ে জনপ্রিয় পোশাক হিসেবে বিবেচিত হয় এই রেডিওশ্যাক জার্সিটিই৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী