1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

টোরিদের প্রথম এশীয় মহিলা এমপি – প্রীতি প্যাটেল

১৪ মে ২০১০

ডয়চে ভেলের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ব্রিটেনের রক্ষণশীল দলের প্রথম এশিয় বংশোদ্ভূত মহিলা সাংসদ প্রীতি প্যাটেল নিজের সাফল্য সহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন৷

https://p.dw.com/p/NNlZ
প্রীতি প্যাটেলছবি: Conservatives

এবার যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে সংখ্যালঘু জাতিগত এমপি'দের সংখ্যা ১৪ থেকে বেড়ে ২৭'এ দাঁড়িয়েছে৷ তার মধ্যে একাধিক ‘প্রথমবারের ঘটনা', যেমন প্রথম মুসলমান মহিলা এমপি, প্রথম আফ্রিকান মহিলা এমপি, কনজারভেটিভদের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা এমপি এবং প্রথম এশীয় মহিলা এমপি৷ প্রীতি প্যাটেলের সঙ্গে কথা বলেন ডয়চে ভেলে'র দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের উপপ্রধান টোমাস ব্যার্টলাইন৷

প্রীতি প্যাটেলের জন্ম ১৯৭২ সালে, লন্ডনে৷ বাবা-মা ভারতীয়, কিন্তু এসেছিলেন উগান্ডা থেকে৷ নরফোকের গ্রামীণ অঞ্চলে একটি ডাকঘর চালাতেন, পরে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে দোকান দিয়েছিলেন৷ প্রীতি প্যাটেল কীল এবং এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করেছেন৷ কনজারভেটিভ পার্টিতে যোগদান করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জন মেজর'এর আমলে৷ প্রীতি প্রথমেই বলেন যে, কনজারভেটিভদের মূল্যবোধের সঙ্গে এশীয়দের মূল্যবোধের অনেক মিল আছে৷ তবুও কোনো ঐতিহাসিক কারণে এশীয়রা লেবারদের সঙ্গেই নিজেদের যুক্ত বলে মনে করতো৷ কিন্তু এই নির্বাচনে এশীয়রা দলে দলে লেবারকে পরিত্যাগ করেছে, সম্ভবত লেবার তাদের ভোট পাবে বলে ধরে নেওয়ার কারণে৷

এশীয় অভিবাসীরা স্বয়ং অভিবাসনের বিপরীতে গিয়েছে কিনা, এ'প্রশ্নের জবাবে প্রীতি বলেন, তাঁর নিজস্ব নির্বাচনী এলাকা মূলত এশীয় নয়, কিন্তু তিনি বহু এশীয়দের সঙ্গে কথা বলে দেখেছেন যে, এশীয়দের অভিমত ব্রিটেনের জনগণের মূল ধারার অনুরূপ: অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে৷ লোকের ধারণা যে, আজকালকার এশীয় অভিবাসীদের আচার-ব্যবহার আগের প্রজন্মের এশীয় অভিবাসীদের মতো নয়৷ প্রীতি বেআইনী অভিবাসনের কথাও বলেন৷

তাঁর মতো এমপি'রা এশীয় ভোটারদের স্বার্থের প্রতিনিধি কিনা, এ'প্রশ্নের উত্তরে প্রীতি প্যাটেল বলেন, সংসদে নির্বাচিত হতেই বহু সময় লেগেছে৷ তিনিই পার্লামেন্টের প্রথম এশীয় মহিলা এমপি৷ অথচ তাঁর পদবী প্যাটেল এবং ব্রিটেনে হাজার হাজার প্যাটেল আছে৷ কাজেই তাঁর নির্বাচিত হওয়াটাই প্রতীকি বলা চলে৷ এবং ওয়েস্টমিনস্টারে আসন নেওয়ার মাধ্যমেই তিনি অন্যান্য এশীয়দের প্রেরণা দিতে পারবেন, উদ্বুদ্ধ করতে পারবেন, বলে প্রীতি মনে করেন৷

প্রতিবেদন: টোমাস ব্যার্টলাইন/অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন