টারজান এখনও বেঁচে!
জঙ্গল নয়, অনুরাগীদের ডাকে টারজান আবার ফিরে এলেন রুপোলি পর্দায়৷ একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষের মন কাড়ছেন এই বনের মানুষ৷
টারজানের কাহিনি
রুডিয়ার্ড কিপলিং-এর ‘জাঙ্গল বুক’-এর মোগলি’ উত্তরসুরি ‘টারজান অফ দ্য এপস’ মানুষ হয়েছেন ‘মাঙ্গানি’ নামের এক ধরনের কল্পিত, লাঙ্গুলবিহীন বানরদের হাতে৷ টারজানের কাহিনি নিয়ে বহুবার ফিল্ম তৈরি হয়েছে৷ হলিউডের নতুনতম টারজান ছবিতে নামীদামী তারকার অভাব নেই - বরং চেষ্টা করা হয়েছে, আদত কাহিনিতে যে জাতিবৈষম্যের ছোঁয়া ছিল, তা বাদ দেওয়ার৷
সূচনা
টারজানের স্রষ্টা এডগার রাইস বারোস (১৮৭৫-১৯৫০) ছিলেন একজন মার্কিন কথাসাহিত্যিক৷ টারজানকে নিয়ে লেখা তাঁর প্রথম কাহিনি প্রকাশিত হয় সস্তাদরের একটি মার্কিন ম্যাগাজিনে; সালটা ছিল ১৯১২৷ বারোস তাঁর কল্পিত বানরদের জন্য একটি বিশেষ ভাষাও কল্পনা করেছিলেন, বানরদের ভাষা, যে ভাষায় ‘টারজান’ কথাটির অর্থ হলো ‘যার গায়ের রং সাদা’৷
টারজান কমিক
‘অল-স্টোরি ম্যাগাজিন’-এ ‘টারজান অফ দ্য এপস’ প্রকাশিত হয় ১৯১২ সালে৷ হ্যাল ফস্টার সেটিকে একটি কমিকে পরিণত করেন ১৯২৮ সালে৷ ১৯৩১ সাল থেকে টারজান কমিক যুক্তরাষ্ট্রের সব রবিবাসরীয়তে বের হতে থাকে৷ পরে বিভিন্ন চিত্রণশিল্পী তাদের নিজস্ব টারজান কমিক বের করেন৷ জার্মানিতে প্রকাশনা শুরু হয় ১৯৫৪ সালে৷
নির্বাক, সাদা-কালো ছবি
টারজানকে নিয়ে প্রথম ছবি তৈরি করেন স্কট সিডনি, ১৯১৭ সালে৷ ছবিতে টারজানের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন এল্মো লিংকন (ছবিতে দেখা যাচ্ছে তাকে)৷
সবচেয়ে বিখ্যাত টারজান
মার্কিন সাঁতারু জনি ওয়েইসমুলার অলিম্পিকে পাঁচ-পাঁচটি স্বর্ণপদক জিতেছিলেন৷ তারপর ওয়েইসমুলার টারজানের সেই উলু দেওয়ার মতো সুরেলা হাঁক - যা কিনা অস্ট্রিয়া বা জার্মানির পাহাড়ি অঞ্চলের ‘ইওডেলিং’-এর সঙ্গে মেলে৷ ওয়েইসমুলার সব মিলিয়ে ১২টি টারজান ছবিতে অভিনয় করেছিলেন৷
আসল টারজান?
১৯৮৪ সালের ‘গ্রেস্টোক’ ছবিটিতে টারজানের কাহিনি বাস্তবধর্মী ও পরিবেশ সচেতন ভাবে পরিবেশন করার চেষ্টা করা হয়েছে৷ ইংল্যান্ডের ভাইকাউন্ট গ্রেস্টোক, যার নাম ছিল জন ক্লেটন, তিনিই আফ্রিকায় গিয়ে টারজান হয়েছিলেন৷ ছবিতে ক্লেটনের গ্রেস্টোকে প্রত্যাবর্তনের পরিণতি দেখানো হয়েছে৷
ডিজনির টারজান
ডিজনি স্টুডিও-র হাতে টারজানের আদত কাহিনি বদলে তার বানর-বোন টের্ক আর তার ভীতু হাতি বন্ধু ট্যান্টর যোগ হয়েছে৷ ১৯৯৯ সালে তৈরি ছবিটি যুক্তরাষ্ট্র ও বাকি বিশ্বে বিপুলভাবে সফল হয়৷
টারজানের প্রত্যাবর্তন
‘দ্য লিজেন্ড অফ টারজান’ হলো সর্বাধুনিক টারজান ছবি৷ এ ছবির পরিচালক ডেভিড ইয়েট্স চারটি হ্যারি পটার ছবি পরিচালনা করেছেন৷ টারজানের ভূমিকায় এবার রয়েছেন আলেক্সান্ডার স্কার্সগার্ড৷ এ ছবিতেও লর্ড গ্রেস্টোক আবার আফ্রিকায় ফিরেছেন৷