টাইমস স্কোয়্যারে বোমা, নিরাপত্তা গাফিলতির প্রশ্ন
২ মে ২০১০শনিবার সন্ধ্যায় নিউ টাইমস স্কোয়্যারের মত ব্যস্ত আর ভিড়ে ঠাসা জায়গায় একটি গাড়িতে বোমা রেখে চলে যায় কেউ৷ এক টি-শার্ট বিক্রেতা গাড়িটি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে পুলিশে খবর দেন৷ পুলিশ এসে এলাকা খালি করে গাড়িটিকে সরিয়ে নিয়ে যায় এবং দেখা যায় গাড়ির মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু পরিমাণ বিস্ফোরক, দুটি ঘড়ি এবং অন্যান্য সাজ সরঞ্জাম, যা থেকে বিস্ফোরণ ঘটলে বহু মানুষের মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা ছিল৷ নিউ ইয়র্কের গভর্নর ডেভিড প্যাটারসনের দাবি, স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এই কাজ সন্ত্রাসবাদীদের৷ কিন্তু কোন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী এখনও এই ষড়যন্ত্রের দায় স্বীকার করেনি৷ প্রাথমিক তদন্ত থেকে পুলিশও পায়নি তেমন কোন সূত্র৷
নিউ ইয়র্ক শহরের মেয়র মাইকেল বুমবার্গের মতে, ভাগ্যই তাঁদের শেষ মুহূর্তে বড় ধরণের অঘটন আর প্রচুর প্রাণহানি থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে৷ কিন্তু ধরে নেওয়া যাক যদি গাড়িটি থেকে ধোঁয়া না বের হত ? কিংবা ভিয়েতনাম যুদ্ধ ফেরত ওই স্থানীয় টি-শার্ট বিক্রেতাটি যদি বিষয়টি লক্ষ্য না করতেন ? সেক্ষেত্রে কী হতে পারত? নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার রেমন্ড কেলি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনটি ট্যাংকে বোঝাই করে যে পরিমাণ প্রপেনন রাখা ছিল ওই গাড়িতে, আর বিস্ফোরক এবং অন্যান্য সাজসরঞ্জাম সহ আর যা যা ছিল, তাতে বিস্ফোরণ ঘটলে এলাকার অনেকখানি জুড়ে আগুন লেগে যেতই৷ শুধু আগুন লাগাই নয়, সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির পাশপাশি প্রাণহানিও ঘটত যথেষ্ঠ৷ কেলির দাবি, লুকানো ১২২টি নিরাপত্তা ক্যামেরায় তোলা ছবিগুলি পরীক্ষা করা হচ্ছে৷ খুব তাড়াতাড়ি ধরা যাবে, কে বা কারা ছিল এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে৷
কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের সতর্কতা যদি এতটাই আত্মবিশ্বাসী হয়, সেক্ষেত্রে এই হামলার সম্ভাবনা আগাম ঠেকানো গেল না কেন এ প্রশ্ন যেমন উঠতে শুরু করেছে, তেমনই মার্কিন মিডিয়ার প্রশ্ন, ভাগ্যবশত বারবার কী এ ধরণের হামলার চেষ্টার হাত থেকে বাঁচতে পারবে অ্যামেরিকা?
প্রতিবেদন-সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা - সাগর সরওয়ার