কে সেই ‘জ্যাক দ্য রিপার'?
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪১৮৮৮ সালের কথা৷ একে একে কমপক্ষে পাঁচজন নারীকে খুন করেন এই হত্যাকারী৷ ঘটনাস্থল লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল এলাকা৷ সাধারণত যৌনকর্মীরাই তাঁর শিকার হয়েছিলেন৷
এই খুনের ঘটনাগুলো নিয়ে কম আলোচনা হয়নি তখন৷ লেখা হয়েছে অনেক বই৷ তৈরি হয়েছে অনেক মুভি৷ ফলে ইতিহাসের অন্যতম চরিত্র এই ‘জ্যাক দ্য রিপার'৷
উত্তর লন্ডনের ব্যবসায়ী রাসেল এডওয়ার্ডসের লেখা ‘নেমিং জ্যাক দ্য রিপার' নামে একটি বই মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে৷ তাতে দাবি করা হয়েছে যে, এই হত্যাকারীর নাম অ্যাডাম কসমিনস্কি৷ তিনি পোল্যান্ড থেকে আসা এক ইহুদি ছিলেন৷ পুলিশের খাতায় সম্ভাব্য হত্যাকারী হিসেবে তাঁর নামটি ছিল৷
ডিএনএ প্রযুক্তি
বইয়ের লেখক এডওয়ার্ডস ২০০৭ সালে নিলাম থেকে একটি শাল কেনেন৷ রক্তমাখা এই শালটি জ্যাক দ্য রিপারের চার নম্বর খুনের ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সংগ্রহ করেছিল৷ পরে ঐ পুলিশের বংশধরদের কাছ থেকে শালটি কেনেন এডওয়ার্ডস৷ শালটি সংগ্রহ করার পর কখনো ধোয়া হয়নি৷ একটি বক্সে রাখা ছিল সেটি৷ এডওয়ার্ডস শালের গায়ে লেগে থাকা রক্ত পরীক্ষা করে কসমিনস্কিকে খুনি হিসেবে চিহ্নিত করেন৷
শালটি পুলিশ যেখান থেকে পেয়েছিল সেখানে খুন হয়েছিলেন ক্যাথরিন এডোওয়েস৷ শালের রক্ত থেকে পাওয়া নমুনা সম্ভাব্য খুনি কসমিনস্কি আর খুন হওয়া এডোওয়েসের বংশধরদের রক্তের নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়েছে৷ এরপরই কসমিনস্কিকে জ্যাক দ্য রিপার হিসেবে ঘোষণা করেন লেখক এডওয়ার্ডস৷
আরও গবেষণা
তবে এডওয়ার্ডসের এই দাবির বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ৷ এর মধ্যে একজন অধ্যাপক আলেস জেফ্রিস৷ ৩০ বছর আগে তিনিই ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছিলেন৷ তিনি বলছেন এডওয়ার্ডস যে কাজ করেছেন সেটা অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য৷ তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে আরও গবেষণা প্রয়োজন৷
জেডএইচ/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)