যৌনাঙ্গ রক্ষায় পালাচ্ছেন পুরুষরা
১৪ আগস্ট ২০১৪আগস্টে খতনার মৌসুম শুরুর পর এখন পর্যন্ত অন্য সম্প্রদায়ের ১২ পুরুষকে ধরে জোর করে খতনা করিয়ে দিয়েছেন বুকুসুরা৷ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এই তথ্য৷ জোর পূর্বক এমন খতনা থেকে বাঁচতে অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন কিংবা পুলিশের কাছে আশ্রয় নিয়েছেন৷
শুধু খতনা নয়, উদ্বেগের আরো কারণ আছে৷ বুকুসু সম্প্রদায় খতনায় ব্যবহার করেন সনাতন পদ্ধতি৷ অর্থাৎ কোনো রকম ব্যথানাশক ব্যবহার না করে ছুরি দিয়ে কেটে নেয়া হয় পুরুষাঙ্গের সামনের অংশের উপরকার চামড়া৷ দিন কয়েক আগে এই কাজ করতে গিয়ে এক খতনাকারক ১৩ বছর বয়সি এক কিশোরের পুরুষাঙ্গই কেটে ফেলেছেন৷ স্থানীয় এক পত্রিকায় এই খবর প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে আতঙ্ক আরো বেড়ে গেছে৷
কেনিয়ার মাওস ব্রিজ শহরে অবস্থানরত তুরকানা সম্প্রদায়ের পুরুষরা মূলত জোর পূর্বক খতনার শিকার হচ্ছেন৷ বুকুস সম্প্রদায়ের মানুষরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খতনা করা হয়নি এমন পুরুষদের খুঁজে বের করছে এবং তাদের খতনা করে দিচ্ছেন৷
তুরকানা সম্প্রদায়ের পুরুষদের যারা ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে পারছেন না, তারা এমন অবস্থা এড়াতে রাতে খেতে ঘুমাচ্ছেন৷ তবে এভাবে চলতে থাকলে প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছেন তারা৷
এদিকে পুলিশ বিষয়টি জানলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি৷ তবে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ওকুমু জানিয়েছেন, জোর পূর্বক খতনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে৷ স্থানীয় বুকুসু নেতা ডাব্লিউ ডাব্লিউ ওয়ালিআওলা জানিয়েছেন, খতনা শরীরের জন্য উপকারী৷ আর সেটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত৷ এইচআইভি সংক্রমণ কমাতেও এটা সহায়ক, জানান তিনি৷
এআই / এসবি (এপি)