জেলখানা ভরে আইনের শাসন নয়: কিরণ বেদী
৭ অক্টোবর ২০১০দিল্লী পুলিশের কমিশনার ছিলেন৷ ছিলেন আইজি প্রিজন৷ পরে নিজেই পুলিশ বাহিনী থেকে ইস্তফা দিয়ে মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করেন৷ ভারতের কুখ্যাত তিহার জেল সংস্কারের পুরোধা এই কিরণ বেদী৷
তাঁর মতে, গ্রেফতার করে জেলখানা ভরে ফেলা আইনের শাসন নয়৷ পুলিশও বিচারক৷ তাঁকে নিশ্চিত হয়ে গ্রেফতার করতে হবে৷ আইনের ভয় দেখানো, নির্যাতন করা কোন পুলিশের কাজ নয়৷ আর এটিই এখন বাংলাদেশ ও ভারতের পুলিশের প্রধান সমস্যা৷
তিনি পুলিশের মানবাধিকার লংঘনের কথা স্বীকার বলেন, পুলিশকে তার সঠিক কাজটি সততা এবং দক্ষতার সঙ্গে করতে হবে৷ কোন লোভ আর ভয়-ভীতি তাকে গ্রাস করলে তার পুলিশে না থাকাই উচিত৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের পুলিশ মানবাধিকার লংঘন করে লোভে পড়ে, রাজনৈতিক চাপের মুখে অথবা ব্যক্তিগত স্বার্থে৷
কিরণ বেদী বলেন, পুলিশ যদি রাজনৈতিক নেতাদের চাপের মুখে নতি স্বীকার করে, তাহলে এটা তাদের ব্যর্থতা৷ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে একটি প্রশিক্ষিত বাহিনীর সদস্যদের অপ্রাতিষ্ঠানিক রাজনৈতিক নেতাদের কাছে আত্মসমর্পণ দুর্ভাগ্যজনক৷
কিরণ বেদী ভারতীয় পুলিশ থেকে পদত্যাগের কারণও জানান, তিনি বলেন, তার চেয়ে দু'বছরের জুনিয়রকে পুলিশের আইজি করায় তিনি মনে করেছেন পুলিশে তাকে প্রয়োজন নেই৷ তাই তিনিও স্বেচ্ছায় বিদায় নিয়েছেন৷
কিরণ বেদী জাতিসংঘ মহাসচিবের পুলিশ উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন৷ প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি ভুল পার্কিং করায় জরিমানা করে তিনি আলোচিত হয়েছেন৷ পেয়েছেন এশিয়ার নোবেল খ্যাত ম্যাগসেসাই পুরস্কার৷ এই কিরণ বেদী একজন সদা হাস্যোজ্জ্বল মানুষ৷ প্রাণবন্ত এবং অমায়িক৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন