1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশি অধ্যাপক

২৬ জুন ২০১৭

বাংলাদেশের অ্যাক্টিভিস্ট আনু মুহাম্মদের কাছে হত্যার হুমকি নতুন কিছু নয়৷ অর্থনীতির এই অধ্যাপক অতীতে পিটুনির শিকার হয়েছেন, হয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর নিপীড়নের শিকার, এমনকি গ্রেপ্তারও হয়েছেন৷ সবই হয়েছে তাঁর আন্দোলনের কারণে৷

https://p.dw.com/p/2fP9x
ছবি: Reuters/Handout/Bratto Amin

গতবছর অক্টোবরে মুঠোফোনে এক ক্ষুদেবার্তা পান আনু মুহাম্মদ– ‘‘ডেথ কিপস নো ক্যালেন্ডার, অ্যান্ড আনসাটুল্লাহ নোজ নো টাইম!'' এ রকম হুমকি তিনি আগেও পেয়েছেন৷ তাই বেশি আমলে নেননি৷ কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর আরো একটি বার্তা আসে৷ ইংরেজিতে তাতে লেখা: ‘‘সে ‘ইয়েস' টু রামপাল, আদারওয়াইজ ইউ উইল বি হ্যাকড টু ডেথ ইনক্রেডিবলি বাই আস!''

পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগের পর জানা যায়, আনসাটুল্লাহ সম্ভবত আনসারুল্লাহ'র নামের বানান ভুল করে লেখা হয়েছে৷ আনসারুল্লাহ বা আনসার আল ইসলাম হচ্ছে আলকায়দার সঙ্গে সম্পর্কিত উগ্র ইসলামপন্থিদের গ্রুপ৷ এই গ্রুপ সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকজন নাস্তিক লেখক এবং সমকামী অ্যাক্টিভিস্টকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে৷ ২০১৪ সালে সমাজতত্ত্ব বিভাগের এক অধ্যাপককে হত্যার দায়ও স্বীকার করেছিল এই গ্রুপ৷

গোষ্ঠীটির নজর এখন সম্ভবত ষাট বছর বয়সি অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের দিকে, কেননা, তিনি বাংলাদেশের সুন্দরবনের কাছে রামপালে নির্মিতব্য দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরোধিতা করছেন গত সাত বছর ধরে৷ আনু মোহাম্মদসহ এই প্রকল্পের বিরোধিতা করা অ্যাক্টিভিস্টরা মনে করেন, সুন্দরবনের কাছে এমন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে তা ম্যানগ্রোভ বনটিকে ক্রমান্বয়ে ধ্বংস করে দেবে৷

ভারত-বাংলাদেশ যৌথউদ্যোগ নির্মিত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কারণে সুন্দরবনের কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে সেটা নিয়ে অবশ্য পরস্পরবিরোধী মন্তব্য রয়েছে৷ অ্যাক্টিভিস্টরা মনে করেন, বিশ্বের অন্যতম বড় ম্যানগ্রোভ ফরেস্টটিতে থাকা কুমির থেকে পাইথন অবধি সকল প্রাণিই ক্ষতির শিকার হবে৷ গাছপালাও ধ্বংস হয়ে যাবে৷

তবে প্রকল্পটির মুখপাত্র আনোয়ারুল আজিম অবশ্য মনে করেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সুন্দরবনের ক্ষতির করার সম্ভাবনা তেমন নেই, কেননা, এটি মূল বন থেকে ১৪ কিলোমিটার এবং ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষিত বন থেকে ৬৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷

আনু মুহাম্মদ অবশ্য এই আশ্বাসে মোটেই আশ্বস্ত নন৷ বরং তিনি মনে করেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি হবে এক ‘বিপর্যয়'৷ আর সেই বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর তিনি, তা যতই হুমকিধামকি আসুক না কেন৷ গতবছরের অক্টোবরে তাঁকে যে মোবাইল নম্বর থেকে হুমকি দেয়া হয়েছিল, সেটি ছিল আওয়ামী লীগের ইসলামপন্থি অঙ্গসংগঠন আওয়ামী ওলামা লীগের এক নেতার নামে নিবন্ধিত৷ যদিও সেই নেতা দাবি করেছেন, তিনি আনু মুহাম্মদকে হুমকি দেননি৷

এআই/এসিবি (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য