1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জি-টোয়েন্টি সম্মেলনের চাওয়া পাওয়া

১২ নভেম্বর ২০১০

শেষ হল জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলন, প্রকাশিত হল যৌথ ঘোষণাপত্র৷ সব বিষয়ে নেতারা একমত হবেন, এমনটা আশা করা অবাস্তব৷ তবে দিনকাল খারাপ যাচ্ছে, অর্থনৈতিক সংকট মোটামুটি কেটে গেলেও অনেক চ্যালেঞ্জ এখনো রয়ে গেছে৷

https://p.dw.com/p/Q6wo
সমবেত বিশ্বনেতাবৃন্দছবি: AP

তাই নেতাদের মধ্যে মৌলিক সংহতির মনোভাবের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে ঘোষণাপত্রে৷

আয়োজক দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং বাক বলেন, সম্মেলন থেকে যথেষ্ট স্পষ্ট ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে৷ যেসব বিষয়ে শীর্ষ নেতারা একমত হয়েছেন, তার মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ'এর আমূল সংস্কারের বিষয়টি৷ এতকাল মূলত শিল্পোন্নত দেশগুলিই এই প্রতিষ্ঠানে ছড়ি ঘোরাতো, এবার চীন, ব্রাজিল ও ভারতের মতো দেশের মতামতও বাড়তি গুরুত্ব পাবে৷ ২০০৮ সালের মতো আর্থিক সংকট কাটাতে ব্যাঙ্কের উপর আরও নিয়ন্ত্রণ চাপাতেও নেতারা একমত হয়েছেন৷

G20 G-20 Seoul Sitzungssaal NO FLASH
কিছু বিষয়ে একমত, বাকি বিষয়ে বিরোধ – তবে নেতারা সংলাপ চালিয়ে যাবেনছবি: AP

যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেল, তার মধ্যে রয়েছে মুদ্রার বিনিময় মূল্যের বিষয়টি৷ চীনের ইউয়ান ও মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য যদি পুরোপুরি বাজারের উপর ছেড়ে দেওয়া হত, তাহলে কোনো সমস্যা ছিল না৷ চীন তার মুদ্রার বিনিময় মূল্য নিজের সুবিধার জন্য কমিয়ে রেখেছে৷ অন্যদিকে ওয়াশিংটনও ঘুরপথে একই কাজ করছে৷ বিনিময় মূল্য কম থাকলে রপ্তানির ক্ষেত্রে যে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়, তা কাজে লাগাতে চায় এই দুই শক্তি৷ সম্মেলনে অবশ্য ক্রমশ মুদ্রার বিনিময় মূল্য বাজারের হাতে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে মৌলিক সম্মতি দেখা গেল৷ দ্বিতীয় যে বিষয়টি নিয়ে বিরোধ রয়ে গেল, তা হল রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারসাম্যের অভাব৷ চীন ও জার্মানি বিশ্বের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দুই দেশ৷ অন্য অনেক দেশকে রপ্তানির তুলনায় আমদানি করতে হয় অনেক বেশি৷ অ্যামেরিকা চীন ও জার্মানি থেকে রপ্তানির এক সীমারেখা টেনে দিতে চেয়েছিল৷ বলাই বাহুল্য, এই দুই দেশের জোরালো প্রতিরোধে সেই চেষ্টা বানচাল হয়ে গেছে৷ তবে রফা হিসেবে এমন এক কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে, যার আওতায় অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রধানরা কিছু নির্দেশিকা অনুযায়ী আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে ভারসাম্যের উপর নজর রাখবেন৷

বিভিন্ন বিষয়ে অগ্রগতি সত্ত্বেও বহুকাল ধরে প্রায় স্তব্ধ হয়ে থাকা দোহা রাউন্ড নিয়ে এবারেও তেমন আশার আলো দেখা গেল না৷ মুখে সবাই বিশ্বজুড়ে অবাধ ও মুক্ত বাণিজ্যের কথা বললেও বিভিন্ন স্তরে জাতীয় বাজারে প্রবেশে বাধা রয়ে গেছে৷ ২০১১ সালে দোহা রাউন্ডের আলোচনা শেষ করার অঙ্গীকার করলেন জি-টোয়েন্টি নেতারা৷

দক্ষিণ কোরিয়ার পর ফ্রান্স এই রাষ্ট্রজোটের সভাপতিত্বের দায়িত্ব পেল৷ সেদেশের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি বলেন, সামগ্রিকভাবে এই জোট নিজেদের অঙ্গীকার পালন করতে সক্ষম হচ্ছে৷ তাঁর মতে, মতপার্থক্য নিয়ে যে যার অবস্থানে অটল হয়ে থাকলে পুরোপুরি ব্যর্থতা অনিবার্য৷ তার চেয়ে সংলাপ চালিয়ে যাওয়াই অনেক ভাল বিকল্প৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক