1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জি এইট সম্মেলনের আলোচনায় ইরান

৩১ মার্চ ২০১০

ক্যানাডার অটাওয়ায় অনুষ্ঠিত হলো জি এইট পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দু’দিনব্যাপী বৈঠক৷ সেখান থেকে দাবি উঠেছে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে আরো আলোচনার এবং প্রয়োজনে নতুন নিষেধাজ্ঞার৷

https://p.dw.com/p/Miem
জি এইট সম্মেলনে হিলারিছবি: AP

বিশ্বের সব বড় বড় বৈঠকেই আলোচনার বিষয় এখন ইরান৷ সদ্যসমাপ্ত জি-এইট বৈঠকও তার ব্যতিক্রম নয়৷ সেখান থেকেই বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জানালেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচী বন্ধে আরো কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে বিশ্বকে৷ প্রয়োজনে জারি করতে হবে নতুন নিষেধাজ্ঞা৷

বলাবাহুল্য ইরানের উপরে নতুন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকায় আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন তাই ক্যানাডার অটোওয়ায় জানালেন, গত ১৫ মাস ধরেই ইরান আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার তোয়াক্কা না করে চলেছে৷ আর এর উপর ভিত্তি করেই নিরাপত্তা কাউন্সিলে বিষয়টির সুরাহায় ঐক্যমত্যের সময় এসেছে৷

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রীর এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলেও৷ তিনি বলেন, আণবিক অস্ত্র প্রসার রোধের ক্ষেত্রে আমাদের একই মনোভাব ব্যক্ত করা উচিত এবং সেটা শুধু ইরানের তরফেই নয়৷ বিশ্বের কেউই চায়না যে, একটির পর একটি রাষ্ট্র পরমাণু অস্ত্র সংগ্রহ করুক এবং সেই পন্থায় আরো বেশি নিরাপত্তার ঝুঁকি আনুক৷

অবশ্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে ইরানের উপর আরো নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে সম্মতি প্রয়োজন চীন এবং রাশিয়ারও৷ কিন্তু দেশ দুটি এই বিষয়ে এখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গলা মেলাচ্ছে না৷ বরং চীনের মতে, ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা করা উচিত৷ তবে, কোন কোন মহল জানাচ্ছে চীন হয়তো ভবিষ্যতে তার এই অবস্থান থেকে সরে আসতে পারে৷ কিন্তু রাশিয়া কোনভাবেই ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে নয়৷ বরং জি এইট এর বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি উল্লেখ না করার পক্ষেও অবস্থান তাদের৷

এদিকে, পরমাণু কর্মসূচীতে দ্রুত বিরতি এনে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার জন্য ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ক্যানাডার প্রেসিডেন্ট এবং জি এইট এর বর্তমান সভাপতি স্টিফেন হার্পার৷ একইসঙ্গে মত দিয়েছেন নিষেধাজ্ঞার দিকেও৷ তিনি বলেন, আমরা আরো কড়া নজরদারী এবং প্রয়োজনে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞাসহ আন্তর্জাতিক বিশ্বের সংগঠিত কঠোর অবস্থান আশা করছি৷

প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, জাপান, ইটালি, ক্যানাডা এবং রাশিয়ার মতো শিল্পোন্নত দেশগুলোর সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে জি এইট জোট৷ এই বছর এ জোটের সভাপতি দেশ ক্যানাডা৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী