1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সাইবার মবিং’

রেজিনা মেনিগ/এসি২২ মে ২০১৩

ব্যাপারটা শধু জার্মানিতেই নয়৷ সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সারা বিশ্বেই স্কুল-কলেজ-কর্মস্থানের সতীর্থদের নামে অপপ্রচার ও কুৎসা রটনা চলেছে৷ বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীরা হচ্ছে এর শিকার৷ তাদের ওপরই যে এর মানসিক চাপ পড়ে সবচেয়ে বেশি৷

https://p.dw.com/p/18bc4
HANDOUT - Amanda Todd hält beschriebene Karteikarten in die Kamera und ruft im Internet um Hilfe. Das auf YouTube veröffentlichte Video war der letzte Hilferuf der 15-Jährigen aus der Nähe der westkanadischen Stadt Vancouver. Millionen Menschen haben das Video von Amanda Todd seit ihrem Selbstmord vor rund zwei Wochen angeklickt. Tausende twitterten über den Fall oder unterstützten eine in ihrem Namen gegründete Facebook-Seite. Die traurige Geschichte ist keine Ausnahme - Cybermobbing gilt weltweit als wachsendes Problem. Foto: dpa (zu dpa-Korr-Bericht: "Trauer um tote Amanda: Kanadierin wird Symbol gegen Cybermobbing" vom 21.10.2012) - bestmögliche Qualität - +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

সহজ বাংলায় একে এককালে বলা হতো একঘরে করা, অথবা স্রেফ গুণ্ডামো৷ কিন্তু স্কুলের গুণ্ডা যদি কমপিউটারের কল্যাণে সোজা বাড়িতে এসে ঢোকে? স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে আর বলা সম্ভব নয়: আমি এখন বাড়িতে, এখানে আমাকে কেউ কিছু করতে পারবে না৷ ইন্টারনেটের মাধ্যমে নানা ধরনের অপমানজনক মন্তব্য এখন শোবার ঘরে, পড়ার ঘরেও তাড়া করে আসে৷

বছরের পর বছর ধরে সেই চাপ সহ্য না করতে পেরেই ক্যানাডার কিশোরী অ্যাম্যান্ডা টড একাধিকবার স্কুল বদলায়, শেষমেষ ২০১২ সালে আত্মহত্যা করে৷ আত্মহত্যার আগে অ্যাম্যান্ডা নেটে একটি ভিডিও রেখে যায়৷ ভিডিও-তে অ্যাম্যান্ডা ৭৪ পাতার একটি পাণ্ডুলিপির একটি পর একটি পাতা ক্যামেরায় তুলে ধরেছে: তার চরম হতাশার কাহিনি ও ইতিহাস৷

এ বছরের এপ্রিল মাসে ক্যানাডার আরো এক কিশোরী আত্মহত্যা করে৷ ইন্টারনেটে তার একটি সম্ভাব্য ধর্ষণের ছবি ও সেই সঙ্গে অপমানজনক বিবরণ তার পক্ষে আর সহ্য করা সম্ভব হয়নি৷ সাইবার মবিং-এর ফল যে সর্বক্ষেত্রেই এ রকম চূড়ান্ত হবে, এমন নয়৷ তবুও সামাজিক মনস্তত্ববিদ কাটারিনা নেট্সার ‘‘সাইবার মবিং-এর বিরুদ্ধে জোট'' নাম দিয়ে একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছেন, যে সমীক্ষায় জার্মানির স্কুলগুলিতে সাইবার মবিং-এর ব্যাপ্তি দেখানো হয়েছে৷

নেট্সারের সমীক্ষা অনুযায়ী, জার্মান ছাত্রছাত্রীদের ১৭ শতাংশ অন্তত একবার ইন্টারনেটে গালিগালাজ এবং হাসিঠাট্টার লক্ষ্য হয়েছে৷ সাধারণভাবে জার্মানির প্রতি তৃতীয় স্কুলে সপ্তাহে অন্তত একটি সাইবার মবিং-এর ঘটনা ধরা পড়ে৷ বিশেষ করে ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সের কিশোর-কিশোরীরাই এর শিকার হয়, তবে তার অনের কম বয়সের, এমনকি প্রাইমারি স্কুলের বাচ্চাদের মধ্যেও নাকি সাইবার মবিং-এর ঘটনা ঘটে থাকে৷

পুলিশ বিশেষ আমল দেয় না

স্কুলে সাইবার মবিং রোখার একটি, হয়ত একমাত্র পন্থা হল ছাত্রছাত্রীদের বিষয়টির গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করা, ব্রিটেনে যা ইতিমধ্যেই করা হচ্ছে৷ পদ্ধতিটা হল, মিডিয়া নিয়েও প্রাইমারি স্কুল থেকেই পড়াশুনো করানো, ক্লাসের ব্যবস্থা রাখা৷ এছাড়া যারা সাইবার মবিং-এর শিকার হয়েছে, তাদের জন্য একটি কেন্দ্রীয় ব্যুরোর ব্যবস্থা করা দরকার, বলেন কাটারিনা নেট্সার, যেখানে তাদের শুনতে হবে না, ‘‘ও সব ইন্টারনেটের গালগল্পকে এত সিরিয়াসলি নিও না৷'' পুলিশ যা সাধারণত বলে থাকে৷

সেবাদাতাদের দায়িত্ব

ফেসবুকের মতো প্রোভাইডারদের যদি অপমানজনক পোস্টিং নেট থেকে অপসারণ করতে বাধ্য করতে হয়, তাহলে সবার আগে লাগে ধৈর্য৷ সেবাদাতাদের পক্ষেও প্রতিটি রিপোর্টের সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হওয়া সম্ভব নয়, কেননা তার একটা প্রশাসনিক প্রক্রিয়া আছে৷ তবে হাল ছেড়ে দেওয়ার কোনো কারণ নেই, বলছেন বিশেষজ্ঞরা৷ প্রথম রিপোর্টে আসার পরেই বিষয়টি ফেসবুকের জ্ঞাত৷ কাজেই তারা সে হিসেবে আইনত দায়ি৷ নীতিগতভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশেই ব্যবহারকারীদের এই আইনগত অধিকার আছে৷

Illustration - Ein Junge reibt sich am 15.05.2013 in Leichlingen (Nordrhein-Westfalen) vor seinem Laptop beim betrachten der Facebook Seite die Augen. Eine umfangreiche Studie zum Thema Mobbing unter Kindern und Jugendlichen in Internet und sozialen Netzwerken wird in Köln vorgestellt. Foto: Oliver Berg/dpa (zu dpa-KORR.: "Bündnis stellt umfangreiche Studie zu Cybermobbing vor" vom 16.05.2013)
ফেসবুকের মতো প্রোভাইডারদের যদি অপমানজনক পোস্টিং নেট থেকে অপসারণ করতে বাধ্য করতে হয়, তাহলে সবার আগে লাগে ধৈর্যছবি: picture-alliance/dpa

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যেই সাইবার মবিং-এর বিরুদ্ধে আইন করা হয়েছে৷ তবে জার্মানিতে অবমাননা, অপপ্রচার কিংবা ‘স্টকিং'-এর বিরুদ্ধে যে আইন আছে, সাইবার মবিং-এর মোকাবিলার জন্য তা পর্যাপ্ত, বলে অনেক আইনজ্ঞ মনে করেন৷ অপরদিকে শুধুমাত্র মবিং-এর জন্যই ইতিমধ্যে অনেক সাইট সৃষ্টি করা হয়েছে৷ সেগুলোর বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, তা ভেবে দেখার সময় এসেছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য