1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান পত্রিকায় কাসাব’এর মৃত্যুদণ্ড

১০ মে ২০১০

মুম্বই সন্ত্রাসী হামলার একমাত্র জীবিত সন্ত্রাসী মোহাম্মদআজমল আমির কাসাব’এর মৃত্যুদণ্ড জার্মানির একাধিক পত্রিকায় গুরুত্ব পেয়েছে৷ তবে এই প্রাণদণ্ড কার্যকর হতে বেশ সময় লাগবে বলেই এই সব পত্রিকার মন্তব্য৷

https://p.dw.com/p/NK91
ফাইল ফটোছবি: AP

মিউনিখ থেকে প্রকাশিত দৈনিক ‘স্যুদডয়চে সাইটুং' লিখছে যে মুম্বই'এ সন্ত্রাসী হানার মামলা খুবই দ্রুত সম্পন্ন করেছে ভারতের বিচার বিভাগ৷ শোনা হয়েছে অসংখ্য মানুষের সাক্ষ্য৷ পত্রিকা লিখছে: ‘‘বিচারের ফল কি হবে সে সম্পর্কে গোটা দেশকেই একমত বলে মনে হয়েছে৷ কাসাবের শাস্তি মৃত্যু, এটাই ছিল সর্বসাধারণের মত৷ হামলায় নিহত এক ব্যক্তির বাবা প্রাণদণ্ডাদেশের পর বলেন, কাসাব প্রত্যাশিত শাস্তিই পেয়েছে৷ কিন্তু রয়ে গেছে সীমাহীন যন্ত্রণা৷''

স্যুদডয়চে সাইটুং মনে করে, শাস্তি কার্যকর হতে সময় লাগবে৷ পত্রিকা লিখছে: ‘‘সুপ্রিম কোর্ট যদি কাসাব'এর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে, তাহলেও সে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের কাছে ক্ষমার আবেদন করতে পারবে৷ তবে কিনা ভারতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনা বিরল৷ সর্বশেষ কার্যকর হয়েছিল ২০০৪ সালে৷ মুম্বই' সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত আর পাকিস্তানের চিরাচরিত দূরূহ সম্পর্কের উপর সাঙ্ঘাতিক চাপ ফেলেছে৷ নয়া দিল্লি ইসলামাবাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা বন্ধ করে দেয়৷ অবশ্য হালে ভারত সতর্কতার সঙ্গেই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে ঝুঁকছে৷''

জার্মানভাষী সুইস দৈনিক ‘নয় স্যুশার সাইটুং'ও মনে করে যে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের মধ্য দিয়েই কাসাব-কাণ্ডের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবেনা৷ সময় লাগবে৷ পত্রিকা লিখছে: ‘‘জাতিসংঘের কাঠামোর মধ্যে ভারত মৃত্যুদণ্ড বন্ধ রাখার বিরুদ্ধে বারবার বক্তব্য রেখেছে৷ যদিও ১৯৯৫ সাল থেকে সেখানে একবার মাত্র প্রাণদণ্ডাদেশ কার্যকর হয়েছে৷ গত এক দশকে বহু মৃত্যুদণ্ড যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে রূপান্তরিত হয়েছে৷ জনমনে জমে থাকা ক্ষোভের কারণে কাসাবের ক্ষেত্রে এই সাজা পাল্টে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই৷''

বার্লিন থেকে প্রকাশিত দৈনিক ‘টাগেসসাইটুং' লিখছে: ‘‘ভারতের বার্তা মাধ্যমে ‘মুম্বই'এর কসাই' বলে অভিহিত কাসাব তার কৃতকর্মের কারণে ঐ দেশে কোনরকম সহানুভূতি জাগিয়ে তোলার আশা করতে পারেনা৷ তাকে যদি ফাঁসি না দেয়া হয় তাহলে বিচার ব্যবস্থার উপরেই মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে৷ তার মুখ ঐ সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে৷''

ভাষান্তর: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন