জার্মান পত্রপত্রিকায় দক্ষিণ এশিয়া
৮ মার্চ ২০১০২০০৮ সালের শেষে মুম্বই শহরে সন্ত্রাসীদের সিরিয়াল হামলার পর থেকে এই প্রথম ভারত আর পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা আবার আলোচনায় বসেছেন৷ এই ঘটনার ওপর আলোকপাত করে সুইজারল্যান্ডের জার্মানভাষী দৈনিক নয় স্যুরশার সাইটুং লিখেছে:
এই আলোচনা আবার শুরু হওয়ার পিছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপ কাজ করেছে৷ তারা একান্তই চায় যে পাকিস্তানের পূর্বাংশে উত্তেজনা প্রশমিত হোক এবং এই জোটসহযোগী পশ্চিমের আফগান সীমান্তের দিকে দৃষ্টি কেন্দ্রীভূত করুক৷ ওয়াশিংটন স্পষ্টতই আশা করেছিল, উভয় পক্ষ অন্তত আরও আলোচনার দিনক্ষণ ঠিক করার ব্যাপারে একমত হতে পারবে৷ কিন্তু তা ঘটেনি৷ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব নিরূপমা রাও ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব সালমান বশিরের মধ্যে আলোচনা কোন সুনির্দিষ্ট ফল বয়ে আনেনি৷ তবে দিল্লি আর ইসলামাবাদ-যে আবার আলোচনায় বসেছে, এই ব্যাপারটাকেই দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার উত্তেজনাময় সম্পর্কের প্রেক্ষিতে সাফল্যের সূচক বলে দেখতে হবে৷
নেপালে আইরিশ নাগরিক ফিলিপ হোমস ভারতের বিভিন্ন সার্কাসে শোষণ ও নির্যাতনের শিকার বহু শিশুকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন৷ দশ বছর আগে ফিলিপ হোমস গড়ে তোলেন এসথার বেঞ্জামিন ট্রাস্ট৷ নেপালের শৈশব হারানো শিশু কিশোর কিশোরীদের সাহায্য করার ব্রত নিয়েছে এই সংগঠন৷ ভারতের বিভিন্ন সার্কাসে কর্মরত এরকম শিশুদেরই মুক্ত করার প্রসঙ্গ টেনে বার্লিনার সাইটুং লিখেছে:
২০০২ সাল পর্যন্ত এই শিশুদের দুর্ভাগ্যের কথা ছিল অজানা৷ এসথার বেঞ্জামিন ট্রাস্টের কর্মীরাই এনিয়ে ছড়িয়ে পড়া গুজব শুনে সক্রিয় হন এবং গোপনে ভারতের সার্কাসে অনুসন্ধান চালান৷ শুধু ভারতের ৩০টি বড় বড় সার্কাস থেকেই ২৩০-এর বেশি নেপালি শিশুকে উদ্ধার করা হয়৷ তাদের বয়স ১৪ বছরর নীচে৷ এবং এক-তৃতীয়াংশই মেয়ে৷ ২০০৪ সালের গোড়াতে হোমস-এর সংগঠন শিশু উদ্ধারের অতর্কিত অভিযান চালায়৷ কেরালার এক সার্কাস থেকে পুলিশের সাহায্যে ২৯ জন শিশুকে উদ্ধার করা হয়৷ ‘‘এরকম অভিযান চালিয়ে তিনশোরও বেশি শিশুকে মুক্ত করা হয়েছে'' - জানিয়েছেন হোমস৷
ভাষান্তর: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ