1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান কুকুর হারল মার্কিন কুকুরের কাছে: ভাষাশিক্ষায়

৮ জানুয়ারি ২০১১

অবশ্য দুটোই একই জাতের কুকুর, আদতে স্কটল্যান্ডের বর্ডার কলি, ভেড়ার দল সামলানোই যাদের কাজ৷ কে জানতো, তারা মানুষের ভাষা শিখতে এতোটা দড়!

https://p.dw.com/p/zv0r
Border, Collie, Rico, Press, konferenz, Berlin, 200, Science, Journal, American, Association জার্মান, কুকুর, হারল, মার্কিন, কুকুর, ভাষা, শিক্ষায়, চ্যাম্পিয়ন, জার্মানি, রিকো
আগের চ্যাম্পিয়ন জার্মানির রিকোছবি: AP

রিকো'কে দিয়েই শুরু করা যাক৷ ২০০৪ সালে জার্মান টেলিভিশনের একটি গেম শো'তে এই কুকুরটির জনসমক্ষে প্রথম আবির্ভাব৷ বলতে কি, আমিও সেদিন টেলিভিশনের পর্দার সামনে ছিলাম এবং দেখে চমকে গিয়েছিলাম যে, একটি মাঝারি সাইজের সাদা-কালো খাড়া-কান কুকুর তার শ'দুয়েক খেলনার প্রত্যেকটিকে চেনে তো বটেই, তাদের নাম জানে, এবং খেলনার নাম করলে পাশের ঘর থেকে সেই খেলনা নিয়ে আসতে পারে৷

রিকোর সেই ‘‘খেলা'' পড়ে বিবর্তনমূলক নৃতত্ত্ব সংক্রান্ত ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের নজরে৷ তারা রিকো'কে নিয়ে নানা ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সাব্যস্ত করেন যে, এর মধ্যে কোনো ফাঁকি নেই৷ রিকো তিন বছরের মানবশিশুদের মতো পরিচিত-অপরিচিত বস্তু এবং পরিচিত-অপরিচিত নামের সংযোগসাধন করতে সক্ষম৷ - এখানে অবশ্য দু'টো কথা বলা দরকার: বর্ডার কলি'রা ভেড়া তাড়ানোর সময় মালিকের শিষ এবং অন্যান্য আদেশমেনে কাজ করতে অভ্যস্ত৷ দ্বিতীয়ত, রিকো সফলভাবে কোনো খেলনার নাম শুনে, সেই খেলনা চিনে নিয়ে আসার পর স্বভাবতই সে ডগ বিস্কুট গোত্রীয় একটি পুরস্কার প্রত্যাশা করে৷

Dog Surfing
বর্ডার কলিরা পারে না কী?ছবি: AP

রিকো'র তখন ছ'বছর বয়স৷ তাকে নিয়ে লেখা বেরিয়েছিল ‘নেচার' জার্নালে৷ তার ছ'বছর বাদে এবার শোনা যাচ্ছে চেজার'এর নাম৷ এ'ও বর্ডার কলি, তবে থাকে মার্কিন মুলুকে৷ এর দুই মালিক নিজেরাই মনোবিজ্ঞানী৷ এঁরা নাকি রিকো'র কাহিনী শুনেই চেজার'কে পাঁচ মাস বয়স থেকেই ভাষা শেখাতে শুরু করেন৷ চেজার আজ ১,০২২-টি খেলনার নাম জানে৷ এ'ছাড়া সে তার বিভিন্ন ধরণের খেলনার মধ্যে তফাৎ করতে পারে, যেমন তার ১১৬টি বল আছে৷ চেজার'এর খবর বেরিয়েছে এ'সপ্তাহে ‘বিহেভিওরাল প্রসেসেস' নামের একটি পত্রিকায়৷

মজার কথা, চেজার খেলার আনন্দেই খেলে, তাকে সেজন্য কোনো বিশেষ পুরস্কার দিতে হয় না৷ দ্বিতীয়ত - রিকোর ক্ষেত্রে যা স্পষ্ট ছিল না - চেজার কোনো আদেশ এবং কোনো বস্তুর নামের মধ্যে তফাৎ করতে পারে৷ ‘‘মোজাটা নিয়ে এসো,'' বললে সে বোঝে কোন বস্তুর কথা বলা হচ্ছে, এবং তাকে সেই বস্তুটি নিয়ে আসতে বলা হচ্ছে৷ চেজার খেলনা এবং কাজের জিনিষের মধ্যে তফাৎ করতে পারে৷ রিকো এবং চেজার, দু'জনেই বিজ্ঞানীদের চমকে দিয়েছে কেননা তারা একটি অচেনা বস্তুকে অন্যত্র প্রথমবার শোনা নামের সঙ্গে যুক্ত করতে পারে - বাচ্চারা যেমন করে থাকে৷

তবে রিকো এবং চেজারকে নিয়ে উচ্ছ্বাস করার আগে মনে রাখবেন, গিনেস বিশ্বরেকর্ডের তালিকায় পশুজগতে ভাষাশিক্ষার চ্যাম্পিয়ন হল ‘পাক' নামের একটি বাজারিগার - অস্ট্রেলিয়ার এক ধরণের টিয়াপাখি৷ ১৯৯৫ সালে সে জানতো ১,৭২৮টি শব্দ৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আবদুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য