1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় রাসায়নিক সরবরাহ

প্রতিবেদন: মার্কুস ল্যুটিকে / এসি২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩

জার্মানি থেকে বেশ কয়েক বছর ধরে সিরিয়ায় নানা ধরনের রাসায়নিক রপ্তানি করা হয়েছে, এবং সেই রাসায়নিক তথাকথিত রাসায়নিক সমরাস্ত্র তৈরির কাজেও ব্যবহার করা চলে৷ সরকারিভাবে অবশ্য তা অ-সামরিক কাজে ব্যবহার করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/19mbh
ছবি: Getty Images

পৃথিবীতে বহু জিনিষই বেসামরিক কাজে ব্যবহার করা চলে, আবার যুদ্ধ কিংবা নিপীড়নের জন্যও ব্যবহার করা চলে৷ এগুলোকে পরিভাষায় বলে ডুয়াল ইউজ পণ্য৷ এগুলোর রপ্তানি নিষিদ্ধ নয়, কিন্তু ইউরোপীয় ডুয়াল ইউজ নিয়মাবলী অনুযায়ী এ'ধরনের পণ্য রপ্তানির আগে ফেডারাল সরকারের কাছ থেকে এককভাবে পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে এবং অনুমোদন পেতে হবে৷

দি লিংকে, অর্থাৎ বামদল সংসদে সরকারের কাছে প্রশ্ন তুলেছিল, ২০০২-০৩ এবং ২০০৫-০৬ সালে জার্মানি থেকে সিরিয়ায় ডুয়াল ইউজ পণ্য রপ্তানি করা হয়েছিল কিনা৷ খবর ছিল, ঐ সময়ে সিরিয়ায় ৯৩ হাজার ৪০ কিলোগ্রাম হাইড্রোজেন ফ্লোরাইড, ৬ হাজার ৪০০ কিলোগ্রাম সোডিয়াম ফ্লোরাইড এবং ১২ হাজার কিলোগ্রাম অ্যামোনিয়াম হাইড্রোজেন ফ্লোরাইড রপ্তানি করা হয়েছে৷ তিনটি পদার্থই স্নায়ুর গ্যাস সারিন তৈরিতে ব্যবহার করা চলে৷

অপরদিকে এই সব রাসায়নিকের অ-সামরিক ব্যবহারেরও নানা উদাহরণ আছে: যেমন দাঁতের মাজন তৈরি কিংবা তেল শিল্পে৷ জার্মানি থেকে এই ধরনের রাসায়নিক সিরিয়ায় রপ্তানির অনুমতি দেয় প্রথমে গেরহার্ড শ্রোয়ডারের সরকার, যা কিনা সামাজিক গণতন্ত্রী ও সবুজদের জোটে সৃষ্ট৷ পরে এসপিডি ও সিডিইউ দলের জোট সরকারও অনুমতি দেন, যে সরকারের প্রধান ছিলেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷

Syrien UN-Kontrolleure überprüfen Vorwürfe zu Giftgasangriff
জার্মানির বামদল সংসদে প্রশ্ন তুলেছিল, ২০০২-০৩ এবং ২০০৫-০৬ সালে জার্মানি থেকে সিরিয়ায় ডুয়াল ইউজ পণ্য রপ্তানি করা হয়েছিল কিনাছবি: Reuters/Mohammad Abdullah

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, জার্মানি থেকে রপ্তানিকৃত রাসায়নিকগুলি বিষাক্ত গ্যাস সারিন তৈরির কাজে ব্যবহৃত হতে পারে, সে কথা সত্যি৷ কিন্তু সেই সঙ্গে আরো নানা ধরনের রাসায়নিক লাগবে - যা আবার বিশ্বের বাজারে পাওয়াটা খুব শক্ত নয়৷ সবচেয়ে বড় যুক্তি হল: সিরিয়ার যদি সত্যিই বিষাক্ত গ্যাস তৈরির জন্য এই সব রাসায়নিকের প্রয়োজন পড়ে থাকে, তবে সিরিয়া তা সহজেই চীন থেকে যোগাড় করতে পারত - বিশেষ করে চীন যখন সে সব পদার্থের ব্যবহার সম্পর্কে কোনো বিব্রতকর প্রশ্ন তুলত না বলে ধরে নেওয়া যায়৷

সংসদীয় নির্বাচনের অব্যবহিত আগে বিষয়টি গণমাধ্যমে ঢেউ তোলে, কিন্তু তার পরেই আবার হারিয়ে যায়৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বলেন, ‘‘তাঁর কাছে যে সব খবরাখবর আছে'', তা অনুযায়ী রাসায়নিকগুলি বেসামরিক কাজেই ব্যবহার করা হয়েছে৷ ম্যার্কেল এর বেশি কোনো উচ্চবাচ্য করেননি৷ সবুজরা এবং মুক্ত গণতন্ত্রীরা বিষয়টিকে নির্বাচনি প্রচারণার অংশ বানাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে৷

তাদের ব্যর্থ হবার দু'টি মূল কারণের একটি হল: জার্মানি একটি রপ্তানিকারক দেশ; এখানে রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে - নির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া - বিবেকের প্রশ্ন জড়ানোর চেষ্টা করে কোনো লাভ নেই৷ অপরদিকে সিরিয়ায় রপ্তানিকৃত রাসায়নিকগুলির মোট মূল্য হলো: এক লাখ চুয়াত্তর হাজার ইউরো, যেখানে ২০১২ সালে জার্মানির মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল এক দশমিক এক ট্রিলিয়ন ইউরো৷