1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির ভবিষ্যৎ নিয়ে বৈঠক করলেন ম্যার্কেল

১৯ জুন ২০১০

অর্থনৈতিক সঙ্কটের পর ২০২০ সাল অবধি জার্মানির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা ও আলোচনা করার জন্য চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল অর্ধেক মন্ত্রীসভা সহ শিল্প, অর্থনীতি এবং শ্রমিক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের ডাক দিয়েছিলেন৷

https://p.dw.com/p/NxDR
ছবি: AP

বার্লিনের কাছে মেজেবের্গ প্রাসাদ, সবুজ মাঠ, বাগান এবং হ্রদের জল দিয়ে ঘেরা৷ শুক্রবার সেখানেই চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের তথাকথিত ‘‘ভবিষ্যৎ শীর্ষবৈঠক'' অনুষ্ঠিত হয়৷ আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল: জার্মানি কিভাবে ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করবে৷ কোনো বাস্তব সিদ্ধান্ত নেবার প্রত্যাশা ছিল না, হবে শুধু চিন্তার আদানপ্রদান৷ উদ্দেশ্য ছিল: সমাজের সব পর্যায়ের শক্তিকে একত্রিত এবং একজোট করা৷

এসেছিলেন জার্মান শ্রমিক সংগঠনগুলির সমিতি ডিজিবি'র সভাপতি মিশায়েল সমার; পরিষেবা সংক্রান্ত শ্রমিক সংগঠন ভের্ডি'র সভাপতি ফ্রাঙ্ক বিজির্স্কে এবং ধাতুশিল্পের শ্রমিক সংগঠন আইজি-মেটাল'এর সভাপতি বের্টোল্ড হুবার৷ মালিক-শিল্পপতিদের তরফ থেকে ছিলেন জার্মান শিল্প ফেডারেশন বিডিআই'এর সভাপতি হান্স-পেটার কাইটেল এবং শিল্পপতি সমিতির প্রধান ডিটার হুন্ড৷ ম্যার্কেলের মন্ত্রীসভা থেকে ছিলেন অর্থমন্ত্রী ভোল্ফগাং শয়েব্লে, শ্রমমন্ত্রী উর্সুলা ফন ডের লাইয়েন এবং শিক্ষামন্ত্রী আনেটে শাভান৷

আলোচনা হয় সমাজের জনসংখ্যাতত্ত্বগত পরিবর্তন নিয়ে, দেশজ শিল্পের উদ্ভাবনী শক্তি নিয়ে, এবং একটি টেঁকসই আর্থিক নীতি নিয়ে৷ ম্যার্কেল সর্বক্ষেত্রেই আলাপ-আলোচনার বুনিয়াদী আশাবাদিতার সুরের প্রশংসা করেন৷ সব কিছুই দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা হয়েছে৷ যেমন ভবিষ্যত প্রজন্মরা যা'তে সরকারি ঋণের বোঝা পরিশোধ নিয়ে ব্যাপৃত না থাকে, সে দিকে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে৷

জার্মানি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় হলেও, ক্রমেই উত্থানশীল দেশগুলির তরফ থেকে প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে - বলেন ম্যার্কেল৷ সেই কারণে বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে আরো বেশী উদ্যমের প্রয়োজন৷ বিডিআই প্রধান কাইটেল বলেন, বিশেষ করে গবেষণা এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে জার্মানি অগ্রণী এবং সেই অবস্থানকে রক্ষা ও সম্প্রসারিত করা চাই৷

পরের বছর আবার এই ‘‘ভবিষ্যৎ শীর্ষবৈঠক'' আয়োজনের অভিপ্রায় ঘোষণা করেছেন ম্যার্কেল৷ প্রশ্ন উঠতে পারে, এ'ধরণের একটি আলোচনাচক্রের উপযোগিতা কোথায়? বৈঠকে বিভিন্ন পক্ষ - এবং বিশেষ বিশেষ স্বার্থকে - একত্রিত করা, দেখা, কোথায় তারা একযোগে কাজ করতে পারে, এটাই হল এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য, বলেছেন ডিজিবি প্রধান সমার৷ যেমন তিনি স্বয়ং জার্মান সরকারের ব্যয়সঙ্কোচ নীতিতে প্রীত নন৷ কিন্তু জনসংখ্যার বয়সগত কাঠামো পরিবর্তনের ফলে দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের যে অভাব দেখা দেবে, সেটি সব সংশ্লিষ্ট পক্ষের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম