জার্মানির বিচিত্র সব পাতালস্টেশন
জার্মানির যোগাযোগ ব্যবস্থার বিচিত্র চিত্র তুলে ধরেছেন ফটোগ্রাফার মিচা পাভলিৎসকি৷ তাতে ধরা পড়েছে পাতাল রেলের জ্যামিতিক চিত্র৷
মিউনিখ: মারিয়েনপ্লাৎস স্টেশন
আলো, আকার ও রঙের বিচিত্র সন্নিবেশ ঘটেছে এখানকার চিত্র কর্মে৷ জ্যামিতিক স্থাপত্য ও নকশার মিশেল দেখা যায় মিউনিখের এই স্টেশনে৷
কোলোন: অ্যসেরে কানালস্ট্রাসে স্টেশন
চিত্রগ্রাহক পাভলিৎসকির জন্ম ১৯৭২ সালে৷ তিনি সবসময় ল্যান্ডস্কেপের সাথে স্থাপত্যের মিশ্রণকে তাঁর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বিশেষভাবে উপস্থাপন করেছেন৷ তিনি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এবং জিইও ম্যাগাজিনসহ বিশেষ কিছু পত্রিকায় কাজ করেছেন৷ তাঁর বই ও ক্যালেন্ডারের সংখ্যা ১৩০টিরও বেশি৷
ফ্রাংকফুর্ট: ভেস্টেন্ড স্টেশন
পাতাল রেল স্টেশনের নেতিবাচক দিকগুলো পাভলিৎসকির ফটোগ্রাফিতে প্রতিফলিত হয়নি৷ স্টেশনগুলোতে কী পরিমাণ ভীড় হয়, চুরি চামারি কোনটারই ছবি নেই৷
মিউনিখ: হাজেনব্যার্গেল স্টেশন
চিত্তাকর্ষক মোটিফের সন্ধানে পাভলিৎসকি ঘুরে বেড়িয়েছেন জার্মানির এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে৷ প্রায় দু বছর ধরে ঘুরে তিনি ছবিগুলো তুলেছেন গভীর রাতে, যখন স্টেশনে কেউ থাকত না৷ ফলে নিশ্চিন্তে শান্ত পরিবেশে নিজের কাজটা করতে পারতেন পাভলিৎসকি৷
স্টুটগার্ট: কিরশটালস্ট্রাসে স্টেশন
পাভলিৎসকির ফটোগ্রাফির কম্পোজিশন জ্যামিতিক৷ পাতাল রেল স্টেশনের এ ধরনের চিত্র এর আগে আর কেউ ধারণ করেননি৷
হামবুর্গ: উবারসিকুয়ার্টির স্টেশন
২০১৩ সালে গ্রেগর ইন্টারন্যাশনাল ক্যালেন্ডার অ্যাওয়ার্ড এর পক্ষ থেকে তাঁর অর্কিড ক্যালেন্ডারের জন্য গোল্ড মেডেল পান পাভলিৎসকি৷
মিউনিখ: ভেস্টফ্রিডহোফ স্টেশন
জার্মানির মধ্যে মিউনিখের পাতাল রেল স্টেশনগুলোই বেশি অনুপ্রাণিত করেছে চিত্রগ্রাহক পাভলিৎসকিকে৷
মিউনিখ: কান্ডিডপ্লাৎস স্টেশন
পাভলিৎসকির দৃষ্টিতে জার্মানির অন্য স্টেশনগুলো থেকে এটি একেবারেই ভিন্ন৷ এর নকশায় রয়েছে বৈচিত্র্য৷
নুরেমব্যার্গ : মাক্সফেল্ড স্টেশন
পাভলিৎসকির এসব ছবি ২০১৩ সালে ফটোগ্রাফির বই থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে৷ বইটির নামই দেয়া হয়েছে ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’৷ তবে তাঁর যাত্রা এখানেই শেষ নয়৷ তিনি পাতালরেলের আরো কিছু ছবি তুলবেন৷ সেগুলো হয়ত নতুনভাবে ধরা দেবে আমাদের কাছে৷