1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বইবিক্রেতা পেশাটাই বিপন্ন

আন্দ্রেয়াস বেকার / এসি১০ অক্টোবর ২০১৩

ফ্রাংকফুর্ট বইমেলার কল্যাণে প্রসঙ্গটি নিয়ে প্রতিবছরই কিছুটা হৈচৈ হয়৷ মেলা কেটে গেলে মানুষজন আবার অনলাইনে বইয়ের অর্ডার দেয়৷ অন্যদিকে বইয়ের দোকানদাররা কবে স্থায়ীভাবে ঝাঁপ বন্ধ করবেন, তাই নিয়ে চিন্তা করেন৷

https://p.dw.com/p/19wlw
A worker fills books in shelves in a booth before the start of the 62nd Frankfurt Book Fair in Frankfurt am Main, on October 5, 2010, where Argentina is this year's guest of honour. The Frankfurt Book Fair, the world's largest, will focus this year on the digital sector, as the show seeks to arrest a decline in exhibitor numbers. The 62nd edition of the fair runs from October 6 to 10, 2010. AFP PHOTO JOHANNES EISELE (Photo credit should read JOHANNES EISELE/AFP/Getty Images)
ছবি: Johannes Eisele/AFP/GettyImages

জার্মানির বইয়ের দোকানদারদের কাছে সংকট একটা স্থায়ী পরিস্থিতি, বহু বছর ধরেই চলেছে৷ গোড়ায় টালিয়া, হুগেনডুবেল কিংবা ভেল্টবিল্ড-এর মতো বইয়ের চেনস্টোর-গুলো গোটা দেশটাকে ছেয়ে দেয় একটির পর একটি ব্রাঞ্চ খুলে: যার অর্থ দাঁড়ায়, জার্মানির সব বইয়ের দোকানগুলোর বিক্রির প্রায় ৯০ শতাংশই চলে যায় এই চেনগুলোর হাতে৷

কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তাতে এই বড় চেনস্টোরগুলোর অবস্থাই কাহিল, কেননা গ্রাহকরা ক্রমেই আরো বেশি সংখ্যায় অনলাইন পদ্ধতিতে বই কিনছেন৷ ওদিকে বইয়ের চেনস্টোর আর অনলাইন সরবরাহকারীদের মাঝে জাঁতাকলে পড়ে ছোটখাটো বইয়ের দোকানের মালিকদের প্রাণ ওষ্ঠাগত৷

infografik/2013_10_08_Umsatzentwicklung-Buchhandlungen-gegen-Internet.psd
ইন্টারনেটই আসলে বইবিক্রেতাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে

এ কেমন বৈরী

ইন্টারনেটই আসলে বইবিক্রেতাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ফ্রাংকফুর্ট বইমেলার উদ্যোক্তা ও আয়োজক জার্মান পুস্তক ব্যবসায় সমিতির হিসাব অনুযায়ী দশ বছর আগে বইবিক্রির মাত্র চার শতাংশ হতো ইন্টারনেটের মাধ্যমে; আজ সেই অনুপাত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ শতাংশে৷ এক্ষেত্রে অ্যামাজন একাই প্রতি চারটি বইয়ের মধ্যে তিনটি বিক্রি করে থাকে, বলে জার্মান মেল-অর্ডার পুস্তক ব্যবসায়ী সমিতির অনুমান৷

অনলাইনের চাপে পড়ে অনেক ছোট পুস্তক ব্যবসায়ীও তাদের নিজস্ব অনলাইন শপ চালু করেছেন, যদিও তা থেকে মোট বিক্রির দেড় শতাংশ হয় কিনা সন্দেহ৷ কাজেই ছোট বইবিক্রেতা এবং বইয়ের দোকানগুলি শুধু একটিমাত্র ক্ষেত্রে অ্যামাজনের চেয়ে বেশি এগিয়ে আছে – এবং সেটি হল, হবু ক্রেতা ও পুস্তকপ্রেমীদের সঠিক বইয়ের সন্ধান দেওয়া, তাই নিয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ করা৷

এ কাজটার জন্য যে ধরনের কর্মীর প্রয়োজন – যারা ক্রেতাদের অনেককে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন এবং শুধু তাদের বই সংক্রান্ত পছন্দ-অপছন্দই নয়, খানিকটা ক্রেতাদের হাঁড়ির খবরও রাখেন – তারাই হলেন ছোট বইয়ের দোকানের আসল আকর্ষণ এবং আসল মূলধন৷ ব্যক্তিগত সম্ভাষণ ও সেবা, এর জন্যই ক্রেতারা ভবিষ্যতেও বইয়ের দোকানে আসবেন বলে পুস্তকশিল্পের সঙ্গে জড়িত অনেকের বিশ্বাস৷

Couple studying together, Paar bei gemeinsamer Weiterbildung
ব্যক্তিগত সম্ভাষণ ও সেবা, এর জন্যই ক্রেতারা ভবিষ্যতেও বইয়ের দোকানে আসবেন বলে পুস্তকশিল্পের সঙ্গে জড়িত অনেকের বিশ্বাসছবি: picture alliance/Bildagentur-online/Tetra-Images

অনলাইন ও অফলাইন

সব সত্ত্বেও গ্রাহকরা ক্রমেই আরো বেশি করে অনলাইনে বই কিনে চলেছেন এবং ছোট বইয়ের দোকানগুলির অকালমৃত্যু ঘটছে৷ ১৯৯৯ সালে জার্মান পুস্তক ব্যবসায় সমিতির সদস্য বইয়ের দোকানগুলির সংখ্যা ছিল ৪ হাজার আটশো', যা ২০১২ সালে কমে দাঁড়িয়েছে সাড়ে তিন হাজারে৷ পুস্তকবিক্রেতা পেশাটির ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য: ২০১২ সালে গোটা জার্মানিতে যে সব তরুণ-তরুণী এই পেশায় প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন, তাদের সংখ্যা ছিল দেড় হাজার৷ অর্থাৎ মাত্র চার বছরের মধ্যে এই সংখ্যা কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ৷

জার্মানিতে আইন করা আছে যে, যে কোনো বই তার লিখিত দামেই সব দোকান থেকে বিক্রি করতে হবে, ইচ্ছে কিংবা সুবিধেমতো দাম কমালে চলবে না৷ এর ফলে চেনস্টোরগুলো প্রকাশকদের কাছ থেকে বিশেষ রিবেট পাবার কিংবা ক্রেতাদের বিশেষ রিবেট দেওয়ার সুযোগ পায় না – ছোট দোকানগুলির পক্ষে যা এক ধরনের সুরক্ষা৷ জার্মানিতে একটি বই সর্বত্র ঠিক একই দামে বিক্রি হবে, তা সাধারণ বইয়ের দোকান, অ্যামাজন কিংবা চেনস্টোর, যেখান থেকেই কিনুন না কেন৷

মুশকিল হল তথাকথিত ই-বুক নিয়ে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ই-বুক বইয়ের বাজারের ২৫ শতাংশ দখল করে নিয়েছে, কিন্তু জার্মানিতে ই-বুক-এর ভাগ তিন শতাংশেরও কম৷ তবে আগামী দু'বছরে ই-বুক-এর কারণে ছাপা বই বিক্রির পরিমাণ ১৬ শতাংশ কমবে, বলে জার্মান পুস্তক ব্যবসায় সমিতির ধারণা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য