1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সন্দেহভাজনদের বহিষ্কারের নির্দেশ

২২ মার্চ ২০১৭

জার্মানিতে জন্ম নেয়া দুই পুরুষ, যারা জার্মানির গ্যোটিংগেন শহরে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করেছিল, জার্মানি থেকে বহিষ্কার এড়ানোর আইনি লড়াইয়ে হেরে গেছেন৷ তাদের আলজেরিয়া এবং নাইজেরিয়ায় পাঠিয়ে দেয়া হতে পারে যে কোনো সময়৷

https://p.dw.com/p/2Zj55
Deutschland PK zur Verhaftung von zwei Salafisten in Göttingen
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Pförtner

গ্যোটিংগেনে উগ্র ইসলামপন্থি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে এই দু'জনের সম্পর্কের বিষয়ে তদন্তকারীরা নিশ্চিত৷ তাই এদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছিল জার্মান কর্তৃপক্ষ৷ অভিযুক্তরা অবশ্য সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই করে জার্মানিতে থেকে যেতে চেয়েছিল৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ধোপে টিকলো না৷

২৭ বছর বয়সি আলজেরীয় এবং ২২ বছর বয়সি এই নাইজেরীয় নাগরিককে গতমাসে গ্যোটিংগেনে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ তারা খুব দ্রুত সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছিল বলেও জানা যায়৷ গ্রেপ্তারের আগে বেশ কিছুদিন পুলিশ তাদের নজরে রেখেছিল, কেননা আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী ‘‘ইসলামিক স্টেটের’’ (আইএস) প্রতি তাদের সমর্থনের বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে৷

আলোচিত দু’জনেরই জন্ম গ্যোটিংগেনে এবং তারা সেখানে তাদের পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছিল৷ মঙ্গলবার লাইপসিগে অবস্থিত কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক আদালত জানায় যে, এবার তাদের জার্মানি থেকে বহিষ্কারে কোনো আইনি বাধা নেই৷ এর আগে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচনা করে তাদের জার্মানি থেকে বের করে দিতে অনুরোধ করেছিল রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷

এদিকে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সন্দেহভাজন দু'জনকে দ্রুতই ফেরত পাঠানো হতে পারে৷ শুধু তাই নয়, এরা অনির্দিষ্টকালের জন্য আর জার্মানিতে ফিরতে পারবেন না৷ লোয়ার সাক্সেনির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস এ বিষয়ে বলেন, ‘‘আমরা সারাদেশের সমস্ত উগ্রপন্থিকে এই বার্তা দিতে চাই যে, তাদের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য এক সেন্টিমিটার জায়গাও দেয়া হবে না জার্মানিতে৷’’

অভিযুক্ত এই আলজেরীয়কে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ইতোমধ্যে সেদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে জার্মানি৷ আলজেরিয়া থেকে এই নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে যে, তাকে ফেরত পাঠানো হলে তার সঙ্গে কোনোরকম অমানবিক আচরণ করা হবে না৷ তবে নাইজেরিয়ার নাগরিকের ক্ষেত্রে এ রকম কিছু করা হয়েছে কিনা, তা এখনো জানা যায়নি৷

উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর মাসে বার্লিনের ক্রিসমাস মার্কেটে ট্রাক হামলার পর নিরাপত্তা ইস্যুতে বেশ কঠিন অবস্থান নিয়েছে জার্মানি৷ এক টিউনিশীয় নাগরিক সেই হামলা চালায়, যাতে প্রাণ হারান ১২ ব্যক্তি৷ এ ঘটনার পর যেসব অভিবাসীর রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন বাতিল হয়েছে, তাদেরও দ্রুত স্ব স্ব দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে জার্মানি

এআই/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ, ইপিডি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য