জার্মানিতে জি-টোয়েন্টির অতিথিরা যেখানে থাকবেন
শুক্রবার জার্মানির হামবুর্গে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী জি-টোয়েন্টির শীর্ষ সম্মেলন৷ সারা দুনিয়া থেকে আসা অতিথিদের জন্য প্রায় নয় হাজার হোটেলরুম প্রয়োজন পড়বে৷
হামবুর্গ সেনেটের অতিথিশালা
নিরাপত্তার খাতিরে বিশ্বের শীর্ষ নেতারা কোথায় থাকবেন তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি৷ তবে ইতিমধ্যে বেশ কিছু অনুমান প্রকাশিত হয়েছে৷ যেমন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামবুর্গ সেনেটের অতিথিশালায় থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে৷ অতীতে সেখানকার অতিথি হয়েছেন প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানা সহ বিখ্যাত অনেক ব্যক্তি৷
পার্ক হায়াৎ
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন ও ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই হোটেলে থাকতে পারেন৷ সম্মেলনের সময় হোটেলগুলো দূর্গ হয়ে ওঠবে৷ চারদিকে থাকবে পুলিশি পাহারা৷ সম্মেলনে নিরাপত্তা দিতে প্রায় ২০ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে৷
দ্য ওয়েস্টিন
হামবুর্গ শহরের নতুন আকর্ষণ ‘এলবফিলহারমোনি’-তেই অবস্থিত এই হোটেল৷ এখান থেকে এলবে নদীর দারুণ সব দৃশ্য দেখা যায়৷ শোনা যাচ্ছে, সৌদি আরবের প্রতিনিধি দল সেখানে অবস্থান করবেন৷ সেটি সত্যি হলে সম্মেলন উপলক্ষ্যে যে কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে তা দেখতে সৌদি প্রতিনিধিদের বেশি দূরে যেতে হবে না৷ শুধু কয়েক তলা নীচে নামলেই চলবে৷
রাইশসহোফ হোটেল হামবুর্গ
হামবুর্গের প্রধান রেলস্টেশনের কাছে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক ভবনে গড়ে ওঠা হোটেলটি ২০১৫ সালে পুনঃসংস্কার করা হয়৷ সেখানে রুম আছে ২৭৮টি৷ ব্রাজিল, ব্রিটেন, ভিয়েতনাম ও ভারতের প্রতিনিধিদের সেখানে থাকার কথা৷
গ্র্যান্ড এলিজে
১৯৮৫ সালে নির্মিত এই হোটেলে ৫১১টি রুম আছে৷ সম্মেলনের সময় এর কয়েকটিতে চীনা অতিথিরা থাকতে পারেন৷ সব অতিথিকে একই চোখে দেখায় বিশ্বাস করে এই হোটেলের কর্তৃপক্ষ৷ ফলে স্টেফি গ্রাফ কিংবা ক্লিফ রিচার্ড যে-ই ঐ হোটেলে যান না কেন তাঁদেরকে সাধারণ অতিথিদের সমানই অর্থ দিতে হয়৷ ভিআইপি বলে তাদের জন্য আলাদা কোনো ডিসকাউন্টের ব্যবস্থা নেই৷
সোফিটেল হামবুর্গ আল্টার ওয়াল
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান সম্ভবত এই হোটেলে থাকবেন৷ হোটেলটির সাজসজ্জায় ফরাসি শিল্পের ছোঁয়া পাওয়া যায়৷
ফেয়ামন্ট হোটেল ফিয়ার ইয়ারেসসাইটেন
কোনো বিশ্বনেতা শেষ পর্যন্ত এই হোটেলে থাকবেন তা এখনও জানা যায়নি৷ তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে ট্রাম্প আর পুটিনকে ‘না’ বলেছে৷ যদিও গত বছরের ডিসেম্বরে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এই হোটেলে ছিলেন৷
ম্যুভেনপিক হোটেল হামবুর্গ
আগে ছিল লাল ইটের তৈরি একটি পানির টাওয়ার৷ ১৯১০ সালে তৈরি টাওয়ারটি পরে হোটেলে পরিণত করা হয়৷ ১৭ তলায় অবস্থিত টাওয়ার সুট থেকে হামবুর্গের ৩৬০ ডিগ্রি দৃশ্য দেখা যায়৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ ও তাঁর স্ত্রী এই হোটেলে থাকতে পারেন৷
হোটেল অ্যাটল্যান্টিক কেম্পিনস্কি
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল থাকবেন এই হোটেলে৷ জি-টোয়েন্টি সম্মেলন চলাকালীন আপনি যদি এই হোটেলগুলোর একটিতে থাকতে চান (যদি এখনও রুম খালি থাকে) তাহলে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি অর্থ দিতে হতে পারে৷