জার্মানিতে অভিবাসীদের বড়দিন
২১ ডিসেম্বর ২০১০বড়দিনের আগে আ্যডভেন্ট'এর সময়ে বড়দিনের বাজার বসে জার্মানির বিভিন্ন স্থানে৷ সত্যি বলতে কি, বড়দিনের উত্সবের আগে আনন্দ স্ফূর্তি করার জন্যই এসব বাজারে এসে থাকে জার্মানরা৷ শুধু জার্মানরা নয় অভিবাসীরাও এসব বাজারে আসে৷ প্রাক বড়দিনের পরিবেশ তারা উপভোগ করে এখানে এসে৷
বিভিন্ন দেশের অভিবাসীর বাস জার্মানিতে৷ এমনি অভিবাসী রাশিয়ার একটি পরিবারও - শ্নাইডার পরিবার৷ স্বামী মিশায়েল ও স্ত্রী এলেনা৷ এঁরা জার্মানির ড্যুসেলডর্ফ শহরে বসবাস করছেন গত দশ বছর ধরে৷ তাঁদের দুই ছেলের জন্ম জার্মানিতেই৷ স্বাভাবিকভাবেই এরা এ দেশে বড়দিনের আনন্দ স্ফূর্তি করতে চায়৷ তাই এদের বাবামা বড়দিনের কিছু আচার অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে৷ এ প্রসঙ্গে এলেনা বলেন, ‘‘জার্মান পরিবারের মত আমরাও আমাদের বাড়ি সাজিয়ে থাকি, প্রতি রবিবার আ্যাডভেন্ট মোমবাতি জ্বালাই৷ বাচ্চারা বিস্কুট বানায়৷ দ্বিতীয় আ্যাডভেন্টের সময় আমরা টানেনবাউম বা ক্রিসমাস ট্রি কিনে আনি এবং সেটা আমরা বাচ্চাদের সঙ্গে একত্রে নানা ধরনের জিনিস দিয়ে সাজাই৷ বাচ্চাদের এই আগ্রহ জন্মেছে জার্মান স্কুলে তাদের বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকে৷ আমার মনে হয় এটা একটা চমত্কার ঐতিহ্য৷''
বড়দিনের বিস্কুট বানানো শেষ হয়ে গেলে শ্নাইডার পরিবারের নয় বছরের ছেলে আ্যাকর্ডিয়ান বাজানো শুরু করে৷ বড়দিনের আগের দিন পবিত্র সন্ধ্যা- হাইলিগের আবেন্ডে সে তার বাবা মাকে একটা সারপ্রাইজ দিতে চায় একটা ছোট্ট কনসার্ট দিয়ে৷
প্রতিবেদন: আবদুস সাত্তার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক