1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার ৬০ বছর পূর্তি

১৪ ডিসেম্বর ২০১০

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ইউএনএইচসিআর এর ৬০তম বর্ষপূর্তি চৌদ্দ ডিসেম্বর৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ক্ষতিগ্রস্ত ইউরোপের আনুমানিক দশ লাখ মানুষকে সাহায্যের লক্ষ্যে স্থাপিত হয়েছিল মাত্র তিন বছরের জন্য৷

https://p.dw.com/p/QXn6
UNHCR
ইউএনএইচসিআর'এর লোগোছবি: DW-Montage

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ইউএনএইচসিআর প্রথমে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল একটি ক্ষুদ্র সংগঠন হিসেবে৷ লক্ষ্য ছিল, ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত সীমিত সংখ্যক শরাণার্থীদের সাহায্য করা৷ কিন্তু পরে এটি একটি বিরাট প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়৷ সংস্থাটি গত ৬০ বছরে ১২০টি দেশের পাঁচ কোটিরও বেশি শরণার্থীকে সাহায্য দিয়েছে৷ তবে ইউএনএইচসিআর বর্তমানে শুধুমাত্র শরণার্থী বিষয়ক একটি সংস্থা নয়৷ এটি বর্তমানে প্রধানত ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রহীন শরাণার্থীদের সাহায্য দিচ্ছে৷ তবে ভবিষ্যতে সংস্থাটি সাহায্য দেবে তথাকথিত পরিবেশ বা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যারা শরণার্থীতে পরিণত হচ্ছে তাদেরকেও৷

ইউএনএইচসিআর ১৯৫৬ সালে প্রথমবারের মত এক জরুরি সমস্যার মুখোমুখী হয়৷ সোভিয়েত বাহিনী সে সময় হাঙ্গেরির বিপ্লব দমন করে বর্বরোচিতভাবে৷ ফলে সে দেশের এক লাখ আশি হাজারেরও বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় আশ্রয়ের আশায়৷ শরণার্থী শিবির স্থাপন, খাদ্য ও ওষুধপত্র সরবরাহ করে ইউএনএইচসিআর এটি সাফল্যের সঙ্গে মোকাবেলা করে৷ এছাড়া সংস্থাটি রুয়ান্ডার গণহত্যা সহ আফ্রিকার বিভিন্ন শরণার্থী সমস্যা, এশিয়ায় ভিয়েতনাম ও আফগানিস্তানের শরণার্থী সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসে৷

৬০ বছর আগে ইউএনএইচসিআর এর কর্মী সংখ্যা ছিল মাত্র তিরিশ জন৷ বর্তমানে এই সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে সাত হাজারে৷ প্রতিষ্ঠাকালে এর বাজেট ছিল মাত্র তিন লাখ ডলার আর বর্তমানে এর পরিমাণ হল তিন বিলিয়ন ডলারেরও বেশি৷

প্রতিবেদন: আবদুস সাত্তার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক