1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাতিসংঘ জলবায়ু প্রধান ইভো ডি বোয়ারের পদত্যাগ

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০

কোপেনহেগেন জলবায়ু চুক্তিটি ৩১ জানুয়ারির মধ্যে অনুমোদন করতে ব্যর্থ হয়েছে প্রধান বিশ্বশক্তিগুলোসহ প্রায় বেশিরভাগ দেশই৷

https://p.dw.com/p/M5ze
কোপেনহেগেন সম্মেলনের ব্যর্থতায় পদত্যাগ করলেন বোয়ারছবি: AP

এ পরিপ্রক্ষিতেই বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছেন জাতিসংঘের বিশ্ব জলবায়ু চুক্তি প্রক্রিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তা ইভো ডি বোয়ার৷

ইভো ডি বোয়ের জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কাঠামোগত সম্মেলনের প্রধান নির্বাহী৷ একটি বৈশ্বিক জলবায়ু চুক্তির মিশনে যথেষ্টই অপেক্ষা করেছেন তিনি৷ কিন্তু শেষপর্যন্ত কোনো কার্যকর চুক্তিই হল না৷ ফলে প্রায় টানা চার বছর বিরামহীনভাবে কাজ করার পর পদত্যাগের সিদ্ধান্তই তাঁর কাছে যথার্থ মনে হয়েছে৷

এক বিবৃতিতে ডি বোয়ার বলেছেন, ‘‘আইনগত বিবেচনায় কোপেনহেগেন আমাদেরকে কোনো স্পষ্ট চুক্তি দিতে পারেনি৷ তবে, একটি কম নির্গমনের বিশ্ব গড়ার দিকে এগিয়ে যেতে রাজনৈতিক অঙ্গীকার এবং বোঝাপড়ার দিক থেকে এটা অনেক৷''

ডি বোয়ার বলেন,‘‘ আমি সবসময়ই বলে এসেছি যে, সরকারগুলো প্রয়োজনীয় নীতি কাঠামো নিশ্চিত করবে, কিন্তু আসল সমাধানটা হতে হবে বাণিজ্য ক্ষেত্র থেকে৷''

অনেক জল্পনা কল্পনা প্রচারণার পর গত বছরের ডিসেম্বরে কোপেনহেগেনে যে জলবায়ু চুক্তিটি হয়েছে তাকে বস্তুতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলের একটি পেছন দরজার সমঝোতা বললেও অত্যুক্তি হবে না৷ এই চুক্তির তিন পৃষ্ঠার নথিতে না আছে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা, না আছে নির্গমন কমানোর কোনো দীর্ঘমেয়াদী বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা৷

Logo der UN Klima Konferenz 2009 in Kopenhagen
কোপেনহেগেন সম্মেলন তাহলে ব্যর্থই হলো?

সম্মেলন শেষ হয়েছিল ২০১০ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সদস্য দেশগুলোর সরকারের তরফে এই চুক্তিটির আইনি অনুমোদন করার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে৷ কিন্তু মন্দের ভাল এই চুক্তির কপালে শেষ পর্যন্ত তাও জুটলো না৷ ওই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার দুই সপ্তাহ পরও সংশ্লিষ্ট ১৯০টিরও বেশি দেশের মধ্যে ৬০টিরও কম দেশ এতে স্বাক্ষর করেছে৷

অনেক উন্নয়নশীল দেশে এবং বেসরকারি সংস্থা অভিযোগ করছে যে, কোপেনহেগেন চুক্তি প্রকারান্তরে বহু বছরের প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা বহুপাক্ষিক সমঝোতার প্রক্রিয়াকেই ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে৷

ক্যানাডার বৃহত্তম এনজিও ‘কাউন্সিল অফ ক্যানাডা'র আন্দ্রিয়া হার্ডেন দোনাহুয়ে বলছিলেন, ‘‘এই চুক্তিটি সঠিক পথের দিকে এগোয়নি৷ এটা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মতো হয়ে গেছে, যেখানে মুষ্টিমেয় কিছু বড় দেশই সব সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে৷''

বার্তা সংস্থা আইপিএস'কে দোনাহুয়ে আরও বলেন, ‘‘হয়তো ডি বোয়ারের পদত্যাগ নতুন পথও খুলে দিতে পারে৷ এর প্রতিক্রিয়ায় হয়তো এই চুক্তিটি পরিত্যক্ত হতে পারে এবং আলোচনা আবার সঠিক পথে এগোনোর সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে৷''

ওদিকে, জাতিসংঘের এ দায়িত্ব থেকে বিদায় নিয়ে ডি বোয়ার এখন বিশ্বে পেশাদারদের অন্যতম বৃহৎ সংগঠন এবং পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান ‘কেপিএমজি' তে ‘জলবায়ু এবং টেকসই উন্নয়ন' বিষয়ে বৈশ্বিক উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেবেন৷

প্রতিবেদন : মুনীর উদ্দিন আহমেদ

সম্পাদনা : আবদুস সাত্তার