1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জাউইয়া দখলে নিতে পারলো না গাদ্দাফি বাহিনী

৬ মার্চ ২০১১

ত্রিপোলি থেকে ৫০ কিলোমিটার পশ্চিমের শহর জাউইয়া৷ কয়েকদিন আগে যেটা দখল করে নেয় বিদ্রোহীরা৷ তবে গত দুদিন থেকে ঐ শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা করে যাচ্ছে গাদ্দাফি বাহিনী৷ কিন্তু এখনো সম্ভব হয় নি৷

https://p.dw.com/p/10U6g
লিবীয় সেনাবাহিনী ছেড়ে আসা সৈন্যছবি: dapd

জাউইয়ার যুদ্ধ

গাদ্দাফি বাহিনী গত দুদিন ধরে চেষ্টা করছে শহরটি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার৷ শনিবার তারা দু'বার আক্রমণের চেষ্টা করেছে৷ কিন্তু শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো সফল হতে পারে নি তারা৷ অর্থাৎ বিদ্রোহীরা চরম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে বলে মনে হচ্ছে৷ শহরের এক বাসিন্দা রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেছে গাদ্দাফি বাহিনী প্রায় ২০টি ট্যাঙ্ক নিয়ে শহরে ঢোকার চেষ্টা করে৷ তারা মানুষের বাসভবন লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে৷ এছাড়া পলায়নরত গাড়ির দিকে তাক করেও গুলি চালিয়েছে তারা৷ ফলে ঠিক কতজন মারা গেছে সেটা জানা যাচ্ছে না৷ যদিও স্থানীয় এক ডাক্তারের ধারণা গত দুদিনে ৬০ জনের মত মানুষ মারা গিয়ে থাকতে পারে, যাদের বেশিরভাগই সাধারণ মানুষ৷ তবে রাতেও গাদ্দাফি বাহিনীর হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছিল৷ যদিও সেটা আর হয় নি৷ ফলে শহরটি এখনো বিদ্রোহীদের দখলেই আছে৷

জাতীয় পরিষদ

ত্রিপোলি আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ এবং সেটা শুরু হবে গাদ্দাফির নিজের শহর সিরতে'তে আক্রমণের মধ্য দিয়ে৷ এমনটাই ধারণা দিয়েছেন পরিষদের প্রধান ও সদ্য সাবেক হওয়া বিচারমন্ত্রী মুস্তাফা আব্দেল জলিল৷ আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন লিবীয় সেনাবাহিনী ছেড়ে আসা সৈন্যদের সমন্বয়ে পরিষদের সেনাবাহিনী গঠিত হয়েছে৷ এবং তারাই আক্রমণে অংশ নেবে৷ এছাড়া এক দু'দিনের মধ্যেই ইউরোপ ও আরব বিশ্বের কয়েকটি দেশ পরিষদকে স্বীকৃতি দেবে বলে জানান জলিল৷

ঊদ্ধারকাজ

প্রায় চারশো শরণার্থী নিয়ে জার্মানির তিনটি নৌজাহাজ তিউনিশিয়া সীমান্ত থেকে মিশরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে৷ এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমানও মিশরীয় নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে৷ এছাড়া অন্যান্য দেশের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করতে আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা আইওএম'কে ত্রিশ লক্ষ ডলার সহায়তা দিয়েছে৷ আর বাংলাদেশ সরকার বাঙালি শ্রমিকদের আরও বেশিমাত্রায় ফিরিয়ে আনতে আইওএম'কে ফ্লাইট বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে৷

তেল

আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা বলছে প্রায় ৬০ ভাগ তেল উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে৷ প্রতিদিন প্রায় ১৬ লক্ষ ব্যারেল তেল উৎপাদন করতো লিবিয়া৷ ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম এখন ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরের চেয়েও বেশি৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান