1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জলবায়ু সম্মেলনের চুক্তির সফলতা নিয়ে শঙ্কা

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০

অনেক আয়োজন করে গত ডিসেম্বরে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনে যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তার সফলতা নিয়ে এখনি শঙ্কা দেখা দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/M10E
ছবি: Cop15Copenhagen

মাত্র দুমাসেরও কম সময় আগে স্বাক্ষরিত হওয়া কোপেনহেগেন অ্যাকর্ড নামের চুক্তিটির কোনো ভবিষ্যৎ নেই বলে এখনি কেউ কেউ বলছেন৷

তাঁদের মতে, সম্মেলনের সময় বিতর্ক এড়াতেই তাড়াহুড়ো করে যেনতেনভাবে চুক্তিটির খসড়া তৈরি করা হয়েছিল৷ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনকারী দেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তিটির খসড়া তৈরিতে নেতৃত্ব দিয়েছিল৷

এছাড়া গত ৩১ জানুয়ায়ী ছিল শেষ দিন, যে সময়ের মধ্যে প্রতিটি দেশকে জাতিসংঘকে দুটি বিষয়ে লিখিতভাবে জানানোর কথা ছিল৷ এর মধ্য একটি হলো কার্বন নির্গমন হ্রাসের বিষয়ে কে কি করবে তা জানানো আর অন্যটি হলো দেশগুলো কোপেনহেগেন অ্যাকর্ডকে সমর্থন করছে কি না৷

Kopenhagen Klimagipfel Kraftwerk hinter Kongresszentrum
জলবায়ু চুক্তির কি হবে?ছবি: AP

নির্ধারিত সময়ের পর দেখা গেল, প্রতিটি দেশ কার্বন নির্গমনের ব্যাপারে কি কি করতে চায় তা জানালেও চীন, ভারত, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও রাশিয়া চুক্তিটি সমর্থনের বিষয়ে কিছু জানায়নি৷

এ ব্যাপারে বার্তা সংস্থা এএফপি চীন ও ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি৷

লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ইনষ্টিটিউট ফর এনভায়রনম্যান্ট এন্ড ডেভেলপম্যান্ট-এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সালিমুল হক বলছেন, বিশ্বের বড় বড় উন্নয়নশীল দেশগুলো চুক্তিটি সমর্থন না করার অর্থ হলো চুক্তিটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত৷

এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুক্তিটি বিভিন্ন দেশের উপর খুব সামান্যই প্রভাব ফেলতে সক্ষম৷ তাঁরা বলছেন, এই চুক্তিটি দিয়ে বছর শেষে, পরিকল্পনা ‍অনুযায়ী, একটি নুতন বৈশ্বিক চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব নয়৷

চুক্তিটির কার্যকারিতার জন্য যে ধরণের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের দরকার তা এতই দুর্বল যে পুরো ২০১০ সাল জুড়ে চুক্তিটি নিয়ে আলোচনার জন্য এখন পর্যন্ত মাত্র দুটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে৷ এর মধ্যে একটি হবে কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠক, যা অনুষ্ঠিত হবে এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে জার্মানির বনে৷ আর পরেরটি অনুষ্ঠিত হবে ডিসেম্বরে মেক্সিকোতে, যা হবে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক৷

চুক্তিটির কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করছেন এমন ‍একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেছেন, এরই মধ্যে চীন, ভারতসহ অন্যান্য দ্রুত উন্নয়নশীল রাষ্ট্র চুক্তিটির ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে৷ তিনি বলছেন, প্রকাশ্যে দেশগুলো চুক্তিটির প্রতি সমর্থন দেখিয়ে গেলেও গোপনে তাঁরা মূলত চুক্তিটি উপেক্ষা করছে৷

সমালোচকরা বলছেন, চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর লক্ষ্যে পৌঁছানোর কোনো রোডম্যাপ নেই৷ এছাড়া কার্বন নির্গমন কমানোর ক্ষেত্রে দেশগুলোর ইচ্ছার উপরই সব ছেড়ে দেয়া হয়েছে, অর্থাৎ দেশগুলোকে বাধ্য করার মত কোনো ধারা চুক্তিতে নেই, যা চুক্তিটিকে দুর্বল করে দিয়েছে৷

প্রতিবেদকঃ জাহিদুল হক

সম্পাদনাঃ অরুণ শঙ্কর চৌধুরী