1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্কুলের জন্য জমি দান করলেন যিনি

৩০ জুন ২০১৬

অন্যের সম্পদ লুটে বড়লোক হওয়া মানুষের অভাব নেই৷ তাদের বিচরণই বেশি চোখে পড়ে৷ তবে উল্টো দৃষ্টান্তও আছে অনেক৷ লালমনিরহাটের এক দিনমজুর নিজের সামান্য জমির বেশির ভাগই দান করেছেন৷ দানের জমিতেই গড়ে উঠেছে স্কুল৷

https://p.dw.com/p/1JGXJ
বাংলাদেশের এক স্কুল ছাত্র
ছবি: picture-alliance/dpa

লালমনিরহাট সদরের কুলাঘাট ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ুয়া গ্রাম৷ এমন গ্রাম বা গ্রামের মানুষ সচরাচর খবরে শিরোনাম হয় না৷ কিন্তু এক চাতাল শ্রমিকের কারণে সেই গ্রামের দিকেই এখন অনেকের নজর৷

গ্রামটিতে দশ বছর আগেও কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল না৷ বিষয়টি দিনমজুর সনাতন চন্দ্র রায়কে খুব কষ্ট দিত৷ সনাতন বুঝতেন, শিক্ষার আলো ছড়াতে না পারলে পশ্চিম বড়ুয়া গ্রাম অন্ধকারেই পড়ে থাকবে, গ্রামের অগ্রগতি, গ্রামবাসীদের উন্নতির পথ থাকবে বন্ধ৷ তাই ২০০৬ সালে নিজের মাত্র ৫৩ শতাংশ জমির মধ্যে ৩৩ শতাংশই দান করে দিলেন৷ ২০০৮ সালে সেই জমিতেই একটি টিনের ঘর তুলে শুরু হয় গ্রামের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের পাঠদান৷

২০১৩ সালে সরকারি স্বীকৃতি পাওয়ায় স্কুলটির নাম এখন ‘পশ্চিম বড়ুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়'৷ যাত্রা শুরুর সময় স্কুলটিতে শিক্ষার্থী খুব কম ছিল৷ তবে এখন ২০৬ জন ছাত্র-ছাত্রী আছে স্কুলটিতে৷

নিজের সীমিত সামর্থের মধ্যেই একটি অখ্যাত গ্রামে শিক্ষা বিস্তারে বড় ভূমিকা রেখে সনাতন চন্দ্র রায় এখন সবার কাছেই প্রশংসিত৷ লালমনিরহাট জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাবেজ উদ্দীন দানশীল এই দরিদ্র দিনমজুরের প্রশংসা করতে গিয়ে জানান, শিক্ষার স্বার্থে সনাতন যে মহানুভবতার স্বাক্ষর রেখেছেন তাতে তিনি এবং প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ মুগ্ধ৷

জাতীয় দৈনিকের সংবাদ শিরোনামেও স্থান পাচ্ছেন সনাতন চন্দ্র রায়৷ ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার এক খবরে লালমনিরহাটের হৃদয়বান এই চাতাল শ্রমিককে উল্লেখ করেছে, ‘স্বর্ণহৃদয়ের এক দরিদ্র মানুষ' হিসেবে৷

তবে দুঃখের বিষয়, নিজে জমি দান করে স্কুল প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেও পশ্চিম বড়ুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মুখে হাসি দেখতে পারছেন না সনাতন চন্দ্র রায়৷ সরকারি গেজেটে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা বেতনই পাচ্ছেন না!

এসিবি/ডিজি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য