জমি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হাওয়া গরম উত্তরপ্রদেশে
১৯ মে ২০১১যমুনা এক্সপ্রেস হাইওয়ে তৈরির জন্য কম দামে জোর করে গরিব কৃষকদের জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে উত্তরপ্রদেশের মায়াবতি সরকারের বিরুদ্ধে গত কয়েক মাস ধরেই দিল্লি সংলগ্ন গৌতমবুদ্ধ নগরের ভাট্টা ও পারসোল গ্রামের কৃষকরা আন্দোলন করছে৷ সম্প্রতি ঐ এলাকার কৃষক-পুলিশ সংঘর্ষের পর থেকে কৃষকদের আন্দোলনকে জোরদার করতে মাঠে নেমে পড়েছে সব রাজনৈতিক দল৷ কংগ্রেসের হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধী৷ সব দলের একই লক্ষ্য, উত্তপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে দলের জনভিত্তি বাড়ানো৷ বিশ্লেষকদের মতে, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে ঠিক যে ধরণের আন্দোলনকে হাতিয়ার করে মমতা বন্দোপাধ্যায় বাম দুর্গের পতন ঘটিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলনের গতিমুখ যেন সেইদিকেই৷
জমি আন্দোলন এখন ছড়িয়ে পড়েছে ঝাঁসি, মিরাঠ, এলাহাবাদ ও সীতাপুর জেলায়৷ পুলিশ আটক করেছে কংগ্রেস, বিজেপি, লোকজনশক্তি পার্টির শীর্ষ নেতাদের৷ ছাড়া পাননি রাহুল গান্ধীও৷ তাঁকে গ্রেপ্তার করে ছেড়ে দেয়া হয়৷ কংগ্রেস পার্টির তরফে বলা হয়, কৃষকদের ওপর পুলিশি বর্বরতা চালিয়ে এবং রাহুল গান্ধীকে গ্রেপ্তার করে মায়াবতী সরকার তার নিজের কবর খুঁড়ছে৷ কংগ্রেস পার্টির দাবি, গরিব কৃষকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন, গ্রেপ্তার করা কৃষকদের মুক্তি, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ইত্যাদি৷ ভবিষ্যতে দরিদ্র কৃষকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কৃষি জমি নেয়া চলবেনা৷
মায়াবতীর বিএসপি সরকার পুরো ব্যাপারটাকে নোংরা রাজনীতি ও মিথ্যা প্রচার অভিহিত করে বলেছে, ক্ষতিপূরণের সঙ্গে এর কোন যোগ নেই৷ বিরোধী দলগুলি রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চাইছে৷
এদিকে কৃষকদের ওপর পুলিশি বর্বরতার অভিযোগে জড়িয়ে পড়েছে মায়াবতি সরকার৷ উত্তরপ্রদেশ মানবাধিকার কমিশন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবও পুলিশের মহাঅধিকর্তাকে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য পাঠানোর নোটিশ পাঠিয়েছে৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক