1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জমজমাট হচ্ছে বাংলাদেশের সাফারি পার্ক

২৯ আগস্ট ২০১০

বাংলাদেশের সাফারি পার্ক কক্সবাজারে৷ ঘুরে বেড়াতে বন্য প্রাণী দেখতে, বনের পরিবেশ দেখতে তা সত্যিই একটি দারুণ বিষয়৷

https://p.dw.com/p/OykG
tiger, Safari Par, Bangladesh, বাংলাদেশ, সাফারি, পার্ক
সাফারি পার্কে দেখা মিলবে এমনি আরো হরেক রকম বন্য প্রাণীরছবি: AP

সমুদ্রকন্যা কক্সবাজারে গেলে যে কারও মন ভরে উঠবে৷ জুড়িয়ে যাবে চোখ৷ একদিকে সমুদ্র, অন্যদিকে ছোট-বড় পাহাড়৷ সবুজ রঙের৷ কিন্তু সমুদ্র এবং পাহাড় ছাড়া কি আর কিছু নেই সেখানে? উত্তরটা জানি টুপ করে আপনারা সকলে দিয়ে দেবেন ডুলাহাজারা সাফারি পার্কটির কথা বলে৷

কক্সবাজার জেলা সদর থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তরে এবং চকরিয়া থানা থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার জেলা সদরের দক্ষিণ বন বিভাগের ফাসিয়াখালি রেঞ্জের ডুলাহাজারা ব্লকে অবস্থিত এই সাফারি পার্কটি৷ বাংলাদেশের একমাত্র সাফারি পার্ক এটি৷

প্রশ্ন উঠত পারে সাফারি পার্কটি আবার কি? উত্তরে বলে দিই সাফারি পার্ক এক প্রকারের অভয়ারণ্য৷ তবে অভয়ারণ্য, প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা জঙ্গলকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়৷ অপরদিকে, সাফারি পার্ক মানুষ কৃত্রিমভাবে তৈরি করে৷ এখানে পশু ব্যবস্থাপনা প্রাকৃতিক পরিবেশে, তবে মানুষের মাধ্যমে হবে৷ 'সাফারি' কথাটার অর্থই হলো 'কোনো দৃশ্যমান বেড়া নয়'৷ অর্থাৎ সাফারি পার্কে এমনভাবে প্রাকৃতিকভাবে বেড়া তৈরি করা হয়, যা দেখলে বোঝাই যাবে না যে বেড়া রয়েছে৷ এরকম বেড়া খুব সাধারণ উপাদানেই তৈরি করা হয় এবং তৈরির পর তা গাছপালা, লতাপাতা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়৷

সাফারি পার্কে বন্যপ্রাণী থাকবে মুক্ত, দর্শনার্থীরা থাকবেন সুরক্ষিত৷ দর্শনার্থীরা প্রাণী দেখতে যাবেন সুরক্ষিত গাড়িতে চড়ে, প্রাকৃতিক রাস্তা দিয়েই৷

২০০১ সালে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া এলাকায় ২,২০০ একর জায়গায় সাফারি পার্কের কার্যক্রম শুরু করা হয়৷ এখন পার্কে রয়েছে ৭২ প্রজাতির প্রায় ১,৩০০ বন্যপ্রাণী৷ এর মধ্যে বিলুপ্ত প্রজাতির দেখতে অনেকটা হরিণের মতো আফ্রিকান ওয়াইল্ড বিস্ট, পেরা হরিণ, সাদা ময়ূর, ৪০ বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া একটি লামচিকাসহ ৫০০ ধরনের বিরল প্রাণীর দেখা মিলবে কেবল এখানেই৷ এছাড়াও ৬০০'ও বেশি হরিণ, ময়ূর, বাঘ, সিংহ, হাতি, বানরসহ বিভিন্ন প্রাণী তো রয়েছেই৷ খাঁচাবন্দি ছাড়াও সাফারি পার্কে প্রায় সময় আশপাশের বন থেকে ৩০ থেকে ৩৫টি হাতি, বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ, সাপ, বানর সাফারি পার্কে আসা যাবার মধ্যে আছে৷

সরকার এই পার্কটিকে আরও সুন্দর এবং প্রাকৃতিক রাখতে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে৷ সাফারি পার্কের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক সহায়তা করবে৷ প্রতি বছর নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত পর্যটন মৌসুমে ছয় লাখের বেশি পর্যটক সাফারি পার্ক দেখতে যান৷ এখন আরও পর্যটক বাড়বে৷ পার্কে বিরল প্রজাতির ৫০০ প্রাণীসহ ১৩০০ প্রাণী সংরক্ষণে বর্তমান সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে৷

এ নিয়েই কথা বলেছিলাম বাংলাদেশ সরকারের প্রধান বন্যপ্রাণী সংরক্ষক তপন কুমার দের সঙ্গে৷ তিনিই এই সাফারি পার্কটি গড়ে তোলার পেছনে কাজ করেছেন দীর্ঘ সময়৷ তিনিই জানালেন, সরকার বাংলাদেশে আরও একটি সাফারি পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ