1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জনপ্রিয় গাউকের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা কমই

৩০ জুন ২০১০

সামাজিক গণতন্ত্রী দল ও সবুজ দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ইওয়াখিম গাউক ছিলেন সাবেক কমিউনিস্ট পূর্ব জার্মান আমলের বিরুদ্ধবাদী ও নাগরিক অধিকারবাদী যাজক৷ সমালোচকের দৃষ্টিভঙ্গি তাঁর৷ জনসাধারণের কাছে জনপ্রিয় তিনি৷

https://p.dw.com/p/O6Ox
ইওয়াখিম গাউকছবি: AP

ইওয়াখিম গাউক-এর জন্ম ১৯৪০ সালে, জার্মানির পূর্বাঞ্চলের বাল্টিক সাগরবর্তী রস্টক শহরে৷ বড় হয়েছেন কমিউনিস্ট পূর্ব জার্মানিতে৷ অল্প বয়স থেকেই স্বাধীনচেতা মানুষ তিনি৷ ১৯৫১ সালে কমিউনিস্ট গোয়েন্দা দপ্তরের কর্মীরা তাঁর বাবাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়৷ গাউকের বয়স মাত্র ১১৷ বাবা ছিলেন ক্যাপ্টেন৷ তাঁকে আবার দেখেন তিনি ১৫ বছর বয়সে৷ তখন তিনি ভেঙে পড়া এক মানুষ৷ সাইবেরিয়ায় ২৫ বছরের শ্রমশিবির বাসের দণ্ড জোটে তাঁর৷ কোথায় তাঁকে রাখা হয়, তিনি আদৌ জীবিত কিনা পরিবারের কেউই তা জানতেননা৷ স্বৈরশাহীর ফল কি হতে পারে তার ছবিটা বাবার ওপর এই নিগ্রহ থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় গাউকের মনে অল্প বয়সেই৷ মুক্তি ও স্বাধিকারের পক্ষ নিতে তাঁর দেরি হয় নি৷ ধর্মযাজক হিসেবেও এই কাজ করেছেন তিনি নির্দ্বিধায়৷ এবং তাঁর ওপর কড়া চোখ ছিল কমিউনিস্ট সরকারের গোয়েন্দা পুলিশের৷

পূর্ব জার্মানির মানুষের শান্তিপূর্ণ বিপ্লবেও সক্রিয় ভূমিকা রাখেন ইওয়াখিম গাউক৷ লুপ্ত হয় কমিউনিস্ট পূর্ব জার্মানি৷ জার্মানি হয় পুনরএকত্রিত৷ পূর্ব জার্মানির কুখ্যাত রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা দপ্তর স্টাসির নাগরিকদেরওপর নিয়মিত নজরদারির সব দলিলপত্র সংরক্ষণ করতে যে সংস্থা গঠিত হয় তার পরিচালনার দায়িত্ব পড়ে ইওয়াখিম গাউক-এর ওপর৷ ২০০০ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব তিনি মর্যাদার সঙ্গে পালন করেন৷ এই দলিল দেখার সুযোগ দেন তিনি জনসাধারণকে৷ গণতন্ত্রের স্বচ্ছতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধতা তাঁর চরিত্রের সহজাত৷

গাউক বলেছেন: ‘‘আমি এই পদে নিযুক্ত না হলেও জনসংখ্যার সেই অংশেরই অংশ হয়ে থাকবো যারা আমাদের রাজনীতিকদের পাশাপাশি এই কথাটি বলবে যে, এই হল আমাদের গণতন্ত্র, এই হল আমাদের স্বাধীনতা৷''

মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখেন ইওয়াখিম গাউক৷ এবংএই কাজটি করে যেতে চান তিনি৷ জনগণের সরাসরি ভোট হলে তাঁর নির্বাচিত হবার ভাল সম্ভাবনা ছিল বলে অনেকে মনে করেন৷

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন