জননী দিবসে সবার চোখ নাদিয়ার দিকে
১০ মে ২০১০মা হতে হলে এমনটা হওয়াই কি দস্তুর? সেই কৈশোরবেলার শুরুর থেকে মা হতে চাইতো নাদিয়া সুলেমান৷ তারপর সে মা হল৷ কিন্তু একটা দুটো বাচ্চায় তার শখ মিটবে না এটা বুঝে গিয়ে বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে নাদিয়া এখন মোট চোদ্দোটি সন্তানের মা৷ তারা এখন একটু বড়ও হয়েছে৷ তাদেরই কয়েকজনকে নিয়ে রবিবার আন্তর্জাতিক জননী দিবসে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসের পথে বেরিয়ে পড়েছিলেন নাদিয়া৷ যথারীতি, বিশ্ববিখ্যাত এই মায়ের জননী দিবসের ছবি তুলতে হুড়োহুড়ি করেছে মিডিয়া৷ বাচ্চাদের হাত ধরে হেঁটে বাজারহাট করেছেন নাদিয়া৷ হাসিমুখে পোজও দিয়েছেন ক্যামেরার সামনে৷
তেত্রিশ বছরের নাদিয়ার এই সন্তান শখ বা সন্তানসুখে কিন্তু নাদিয়ার নিজের মা অ্যাঞ্জেলা সুলেমান রীতিমত তিতিবিরক্ত৷ নাদিয়া বিয়েতে বিশ্বাসী নয়৷ কিন্তু তাঁর বাচ্চার শখ৷ অ্যাঞ্জেলা এই বিদঘুটে ব্যাপার মেনে নিতে রাজি নন৷ তাঁর দৃষ্টিভঙ্গী অন্যরকম৷ তিনি সনাতন পদ্ধতিতে আস্থাশীল৷ নাদিয়া যখন গর্ভবতী ছিলেন, সে সময় মা অ্যান্জেলার রীতিমত মানসিক সমস্যাও দেখা দিয়েছিল৷ সংবাদসংস্থা এএফপি-র কাছে এক সাক্ষাত্কারে নিজের এই আপত্তির কথা খোলাখুলি জানাতেও দ্বিধা করেন নি অ্যাঞ্জেলা৷ আবার, দ্বিতীয়দফায় নাদিয়া যখন সন্তানদের জন্ম দিতে হাসপাতালে, তখন নাদিয়ার ছয় সন্তানের দেখভালও করেছেন করেছেন নাদিয়ার মা অ্যাঞ্জেলা৷
চোদ্দোটি সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে নাদিয়াকেও অনেক পথ পার হতে হয়েছে৷ তাঁর গর্ভধারণে কিছু শারীরিক সমস্যা ছিল৷ সেসব পেরিয়ে প্রথমে পরপর ছয়টি এবং তার পরে বিশেষ ‘ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন'- এর মাধ্যমে একসঙ্গে আরও আটটি, মোট চোদ্দোটি সন্তানের মা হয়েছেন নাদিয়া দুই দফায়৷ তাদের নিয়ে তিনি মাতৃত্বের গর্ব অনুভব করেন বেশ গভীরভাবেই৷
তবে সমালোচনা যতই থাক, একজন মা যদি তাঁর বহু সন্তানের মধ্যে নিজের মাতৃত্বের তৃপ্তি অনুভব করতে পারেন, তার মত অনুপম দৃশ্য এই বিশ্বে আর অন্য কিই বা হতে পারে? সেই দৃষ্টিতে জননীদিবসে নাদিয়ার মত জননীর কথা তো সকলেই জানতে চাইবে৷ কারণ, জননী হিসেবে তিনি তো আদর্শই৷ তাই নয় কি?
প্রতিবেদন-সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা- রিয়াজুল ইসলাম