1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জগৎ তার সাথে, তবুও লিবিয়া একলা

১১ মার্চ ২০১১

গাদ্দাফি বাহিনীর যে এখন পাল্লা ভারী, সেটা মার্কিন গুপ্তচর বিভাগ বলে না দিলেও বহির্বিশ্বের বুঝতে কোনো অসুবিধা হতো না৷ পূর্বে রাস লানুফ এবং পশ্চিমে জাউইয়া থেকে বিদ্রোহীরা বিতাড়িত৷

https://p.dw.com/p/10XFv
সিদ্রে’তে বিদ্রোহীরা গাদ্দাফির বোমারু বিমানের হাত থেকে নিরাপত্তা খুঁজছেছবি: dapd

উপকূলে খোলা মরুভূমি অঞ্চলে একটিমাত্র সড়কে চলাফেরা করতে গিয়ে বিদ্রোহী বাহিনী পড়ছে গাদ্দাফি অনুগামীদের জঙ্গি হেলিকপ্টার এবং জঙ্গিবিমানের আওতায়৷ বিদ্রোহীদের সামরিক অভিযান যে তার গতিবেগ হারিয়েছে, তার একটা প্রধান কারণ হল এই যে, এই খোলামেলা দেশে বায়ু অঞ্চলের উপর বিদ্রোহীদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই৷ সেটা পুরোপুরি গাদ্দাফি বাহিনীর হাতে৷ যে কারণে বিদ্রোহীদের তরফ থেকে এখন আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজের কাছে একটাই ডাক উঠেছে: নো-ফ্লাই জোন চালু করো; বাকিটা আমরা দেখব৷

কিন্তু সেই নো-ফ্লাই জোন চালু হবার সম্ভাবনা কতোটা? ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বৃহস্পতিবার ব্রাসেলস থেকে যে সঙ্কেত পাঠিয়েছে, তা হল এই: আপাতত তারা এই সশস্ত্র সংঘাতে জড়াতে রাজি নয়৷ বিশেষ করে আঞ্চলিক এবং আরব লিগের সমর্থন ছাড়া তো নয়ই৷ এমনকি জাতিসংঘের সনদও চাই তাদের৷ ওদিকে আফ্রিকান ইউনিয়ন ইতিমধ্যেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা সামরিক হস্তক্ষেপের বিরোধী৷ একমাত্র ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি আগ বাড়িয়ে বিদ্রোহী পরিষদকে স্বীকৃতি দিয়ে বসে আছেন৷ লিবিয়ায় বিমান হানার কথাও নাকি শোনা গেছে তাঁর মুখ থেকে৷ অবশ্য এর কতোটা যে নাটক, তা বলা শক্ত৷ তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন সত্যিই আগামী ১৫ই মার্চ ন্যাটোকে নো-ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত প্রস্তাব দেবেন৷

Libyen Aufständische Sanitäter sucht Schutz in Ras Lanuf
রাস লানুফের কাছে মাটি কামড়ে এ্যাম্বুলেন্স কর্মী৷ছবি: dapd

এই গড়িমসির ফলেই তো গাদ্দাফি গোষ্ঠীর ছছল-বছল৷ গাদ্দাফি-পুত্র সাইফ আল-ইসলামের হাবভাবই বদলে গেছে৷ রয়টার্সের সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘এবার অভিযানের সময় এসেছে৷ আমরা এখন এগোচ্ছি৷'' পশ্চিমী শক্তিরা হস্তক্ষেপ করলেও নাকি গাদ্দাফি তরফ জিতবে, ইত্যাদি কথা তার মুখে৷

সত্যিই তো, পূর্বে রাস লানুফ, এমনকি ব্রেগার উপর বোমা - এ'সবই আবার তেলের শহর, তেলের বন্দর৷ তা'তে তেলের আন্তর্জাতিক খরিদ্দারদেরও কিছুটা ভয় দেখানো হল৷ পশ্চিমে জাউইয়া'তে নাকি রক্ত বইয়েছে গাদ্দাফির সাঙ্গপাঙ্গরা, মহিলা এবং শিশুদের হত্যা করতেও দ্বিধা করেনি৷ ওদিকে লিবিয়া থেকে আড়াই লক্ষ মানুষ পালিয়েছে পাশের দেশগুলোতে৷ কাজেই জাতিসংঘ এখন মানবিক সাহায্যের দিকটা সামলাতেই ব্যস্ত৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান