1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছাই মেঘে ইউরোপের আকাশ যোগাযোগ ব্যাহত

১৫ এপ্রিল ২০১০

আইসল্যান্ডের একটি আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত ঘন ছাই মেঘে ছেয়ে যাচ্ছে ইউরোপের আকাশ৷ ভূমি থেকে খালি চোখে দেখা না গেলেও, প্রায় আট থেকে দশ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আকাশে বিরাজ করছে এই ছাই মেঘ৷

https://p.dw.com/p/MwxY

বুধবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে ছাই মেঘের ঘনঘটা৷

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেট বিমানসমূহের জন্য এটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এটা দৃষ্টিসীমাকে খুবই সংকুচিত করে ফেলে৷ এই পরিস্থিতিতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সাথে আকাশ পথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে৷

একইসাথে উত্তাপে হিমবাহ গলে সৃষ্টি হচ্ছে বন্যা৷ ফলে রাস্তাঘাট এবং সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সড়ক যোগাযোগও৷ ইতিমধ্যে এইজাফজালাজোকুল আগ্নেয়েগিরি আশেপাশে বসবাসকারী প্রায় ৮০০ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে নিরাপদ দূরত্বে৷ এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে আইসল্যান্ডে ছাই মেঘের এটি দ্বিতীয় ঘটনা৷

ঘন ছাই মেঘের কারণে লন্ডনের হিথ্রো এবং গ্যাটউইক বিমানবন্দরসহ স্কটল্যান্ডের সকল প্রধান বিমানবন্দর পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে৷ এছাড়া নরওয়ে, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের উত্তরাঞ্চলের বিমান বন্দরগুলোতেও সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে৷

অবশ্য আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি ঘটনা হচ্ছে, আইসল্যান্ডের বিমান বন্দরগুলোতে বিমান উড্ডয়ন এবং অবতরণ পুরোপুরি স্বাভাবিক রয়েছে৷ এর কারণ হচ্ছে, ছাই মেঘ আইসল্যান্ড থেকে পূর্ব দিকে উড়ে যাচ্ছে, জানালেন দেশটির বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র হর্ডিস গাডমুন্ডসডটির৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা সত্যিই আশ্চর্য হওয়ার মত ব্যাপার৷ আবহাওয়ার পূর্বাভাস থেকে আমরা মনে করছি, কমপক্ষে আগামী ১২ ঘণ্টা এখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে৷''

উল্লেখ্য, ১৮২৩ সালের পর গত মাসেই প্রথম এইজাফজালাজোকুল আগ্নেয়েগিরি থেকে লাভা উদ্গিরণের ঘটনা ঘটে৷ এতে ঐ এলাকা থেকে সরে যেতে হয়েছিল প্রায় ৬০০ মানুষকে৷ রাজধানী রেকইয়াভিক থেকে মাত্র ১২৫ কিলোমিটার পুবের এই আগ্নেয়গিরিতে এবারের অগ্ন্যুৎপাত গত মাসের চেয়েও ভয়াবহ বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ৷ আইসল্যান্ডের জিওফিজিক্স এর অধ্যাপক ম্যাগনাস টামি গাডমুন্ডসন বলেন, এই অগ্ন্যুৎপাত কতদিন স্থায়ী হবে তা বলা যায় না৷ কয়েকদিন থেকে এক বছর পর্যন্তও স্থায়ী হয়ে থাকে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা৷ তবে এটির প্রাথমিক রূপ দেখে মনে হচ্ছে, এটা বেশ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে৷

প্রতিবেদক : হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক