ছাইমেঘ থেকে বিমান বাঁচানোর নতুন উপায়
৪ জুন ২০১০কী ? জানতে চান কী সেই পদ্ধতি ? তার আগে জানাই, ছাইমেঘ আসলে কেন ক্ষতিকর৷ সংক্ষেপে বললে, ছাইমেঘের মধ্যে অনেকক্ষেত্রেই উড়ে বেড়ায় ক্ষুদ্র পার্টিকেল, যা কিনা বিমানের জানালা এবং ককপিটের দেয়ালে আঁচড় ফেলতে পারে৷ তার ওপর এই ক্ষুদ্র পার্টিকেল বিমানের ইঞ্জিনও বন্ধ করে দিতে পারে৷ আর তাই, এ ধরনের ক্ষেত্রে বিমান দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে, যদিও ছাইমেঘের কারণে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি৷
ফিরে আসি মূল প্রসঙ্গে৷ ইজিজেট জানাচ্ছে, ইনফ্রারেড ব্যবহার করে বিমানের গতিপথের সামনের দিকে ৬২ মাইল পর্যন্ত কোন ক্ষতিকর পার্টিকেল আছে কিনা - তা পরীক্ষা করে দেখা সম্ভব৷ আর ছাইমেঘের মধ্যে সেরকম কোন ক্ষতিকর পার্টিকেলের সন্ধান পেলে বৈমানিক সহজেই গতিপথ বদলাতে পারবে, প্রয়োজনে নিতে পারবে বাড়তি সতর্কতা৷
ইজিজেট সংক্ষেপে এই পদ্ধতির নাম দিয়েছে ‘এভয়েড'৷ এই নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সংস্থাটি ব্যয় করেছে দেড় মিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ ইজিজেটের পক্ষে আগামী দুই মাসের মধ্যে বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরীক্ষামূলক উড়াল পরিচালনায় সম্মত হয়েছে৷
ইতিমধ্যে ইজিজেট এর এই নতুন প্রযুক্তিকে সমর্থন দিয়েছে যুক্তরাজ্যের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ সিএএ৷ তবে, তা সীমাবদ্ধ থাকছে শুধু সার্টিফিকেট প্রদানের মধ্যে৷ অর্থাৎ এই প্রযুক্তির বাস্তব ব্যবহারের আগে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চায় সিএএ৷
এদিকে, ইজিজেট তাদের নতুন প্রযুক্তিকে চারদিকে ছড়িয়ে দিতে রাজি৷ সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যান্ডি হারিসন জানিয়েছেন, আমরা শুধু নিজেরাই সুবিধা পেতে এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করিনি৷ বরং বাণিজ্যিক দিক থেকে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরাও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন৷
প্রসঙ্গত, আইসল্যান্ডের আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত ছাইমেঘের কারণে এই বছর ইউরোপে বিমান চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটে৷ প্রায় ১ লাখ উড়াল বাতিল হয়৷ এতে বিমান সংস্থাগুলোর ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১ দশমিক সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার৷
প্রতিবেদন : আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা : দেবারতি গুহ