ছাইমেঘের কারণে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে ইইউ’র বৈঠক সোমবার
১৮ এপ্রিল ২০১০ইইউ'র যোগাযোগ মন্ত্রীরা এই বৈঠকে অংশ নিবেন৷ ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে বিমান চলাচলের বিকল্প নিয়েও আলোচনা করা হবে বলে জানা গেছে৷
এদিকে রবিবার চতুর্থ দিনের মত ইউরোপের অধিকাংশ বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে৷ ৩৮টি দেশের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ইউরোকন্ট্রোলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দৈনিক চলাচলকারী মোট ২৪ হাজার ফ্লাইটের মধ্যে রবিবার মাত্র চার হাজার ফ্লাইট পরিচালিত হওয়ার কথা৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত চারদিন বিমান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে বিভিন্ন বিমান কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিকে ইতিমধ্যে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়েছে৷
তবে কয়েকটি দেশে কিছু কিছু বিমানবন্দর আংশিক বা পুরোপুরি খুলে দেয়া হয়েছে৷ যেমন জার্মানির ১৬টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে পাঁচটি রবিবার রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ তবে শুধু পূর্ব দিক থেকে আসা ও পূর্ব দিকে যাওয়ার বিমানই এই বিমানবন্দরগুলো ব্যবহার করতে পারবে৷ এছাড়া ফ্রান্স, স্পেন, নরওয়ে ও ইউক্রেনের কয়েকটি বিমানবন্দরে বিমান চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে৷ তবে ইউরোপের সবচেয়ে বড় তিনটি বিমানবন্দর—হিথরো, ফ্রাঙ্কফুর্ট ও প্যারিসের শার্লস দ্য গল এখনো বন্ধ রয়েছে৷ ব্রিটেনে সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত সব বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে৷ এছাড়া ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ সোমবারের তাদের সব ফ্লাইট ইতিমধ্যে বাতিল ঘোষণা করেছে৷
এদিকে কেএলএম, লুফৎহান্সা ও এয়ার বার্লিন কর্তৃপক্ষ, ছাইমেঘের কারণে বিমানের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা যে কথা বলছেন, তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে৷ উল্লেখ্য, কেএলএম ও লুফৎহান্সা শনিবার সফলভাবে কয়েকটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করেছে৷ এছাড়া এয়ার ফ্রান্স রবিবার নিরাপদভাবে একটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করে৷ এসব সাফল্যের কারণে ইউরোপের বিভিন্ন বিমান কর্তৃপক্ষ আকাশ সীমা খুলে দেয়ার জন্য বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে৷
প্রতিবেদন : জাহিদুল হক
সম্পাদনা : রিয়াজুল ইসলাম