1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছবি প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে শরণার্থীদের করুণ গল্প

১৬ এপ্রিল ২০১১

অন্যান্য অনেক দেশের মতো জার্মানিতেও রাজনৈতিক আশ্রয় নেন অনেক দেশের মানুষ৷ বেশ কিছু সময় থাকেন এই দেশে৷ কিন্তু এক সময় তাঁদেরকে আবার ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয় নিজেদের দেশে৷

https://p.dw.com/p/10ub4
ছবি: Nikos Pilos

আর এই বিষয়গুলোকে ছবি প্রদর্শনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন এক জার্মান চলচ্চিত্র নির্মাতা৷

জার্মানির অভিবাসী এবং শরণার্থী বিষয়ক কেন্দ্রীয় দপ্তরের তথ্য অনুসারে, ২০০৯ সালে জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেন প্রায় ৪৮ হাজার মানুষ৷ এবং এই সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে৷ একই সঙ্গে জার্মান সরকার রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন, এমন প্রায় ১০ হাজার মানুষকে প্রতি বছর নিজেদের দেশে ফেরত পাঠাচ্ছেন৷ কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর তাঁদের জীবনে কী ঘটছে? তা ভাবিয়ে তোলে জার্মান চলচ্চিত্র নির্মাতা রাল্ফ ইয়েসে'কে৷ এই বিষয়টি খোঁজ করতে তিনি ৯ জন ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নেন৷ তাঁদেরকে একটি ছোট্ট ডিজিটাল ক্যামেরা দেন৷ এবং বলে দেন, বাড়িতে ফেরার পর তাঁদের জীবনে কী ঘটে তা সেই ক্যামেরায় ধারণ করতে এবং ক্যামেরার মেমরি কার্ডটি পোস্টে তাঁর কাছে পাঠিয়ে দিতে৷

এই চলচ্চিত্র নির্মাতার কথামতো কাজ করেছিলেন ঐ ৯ ব্যক্তি৷ আর তাঁদের তোলা সেই সব ছবিই এখন প্রদর্শিত হচ্ছে৷ প্রদর্শনীর নাম ‘ব্ল্যাকবক্স ডিপোর্টেশন' – যার আক্ষরিক অনুবাদ ‘জোর করে ফেরত পাঠানোর কালো বাক্স'৷

প্রদর্শনীতে সত্যি আট ফুট উঁচু এবং এগারো ফুট চওড়া একটি বাক্স রয়েছে৷ এবং এটি কালো রঙের পাতলা একটি প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকা রয়েছে৷ এর বাইরের দিকে ঐ ব্যক্তিদের পরিবার, বাস এবং রাস্তা জুড়ে ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এমন কিছু ছবি বড় করে লাগানো রয়েছে৷ জার্মানি থেকে নাইজেরিয়া, কসোভো এবং জর্জিয়ায় ফিরে গেছেন, এমন নয়জন লোকের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে এই ছবিগুলো৷ যে ছবিগুলোর মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে জার্মানিতে আসার আগে এবং জার্মানি থেকে ফিরে যাওয়ার পর তাঁদের জীবনের চালচিত্র৷

জার্মান সরকারের ভাষ্য মতে, শরণার্থী হিসেবে যারা জার্মানিতে আসেন, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার উপযুক্ত নয়৷ তাই জার্মান সরকার সম্প্রতি অভিবাসন এবং রাজনৈতিক আশ্রয়ের নিয়ম-নীতি সংস্কার করেছে৷ কিন্তু বেসরকারি উন্নয়নমূলক সংগঠন এবং শরণার্থীদের আইনজীবীরা শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর এই নীতির সমালোচনা করছেন৷ শুধু তাঁরাই নয়, সমালোচনা করছে স্বয়ং ‘দ্য কাউন্সিল অফ ইউরোপ'এর কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস৷ অন্যদিকে নতুন এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেশে ফিরে যাওয়া সেইসব মানুষদের দুর্ভাগ্যকে তুলে ধরার পাশাপাশি এই বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে৷ বার্লিনের ‘হাউস অফ ওয়ার্ল্ড কালচারস'এ মে মাসের ৮ তারিখ পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন