চেষ্টা করলে হাঙরেরও দাঁত দেখতে পাবে...!
হাঙর ভীতি
সেটাই তো স্বাভাবিক৷ হলিউডের বিখ্যাত ‘জস’ ছবির আগেও তা ছিল, পরেও থাকবে৷ তিন পয়সার পালা নাটকের গানে ছিল না? চেষ্টা করলে হাঙরেরও দাঁত দেখতে পাবে....আসলে কিন্তু হাঙরেরা যত মানুষ মারে, তার চেয়ে অনেক বেশি হাঙরকে মারে মানুষ৷ কাজেই ভয়টা হাঙরদেরই হওয়া উচিত!
রিফ শার্ক বা শৈলশিরার হাঙর
পাঁচ ধরনের রিফ শার্ক আছে, ছবিতে তাদের একটিকে দেখা যাচ্ছে৷ রিফ বা ডুবন্ত শৈলশিরার অদ্ভুত জগতে হাঙররাই সবচেয়ে দুর্ধর্ষ শিকারি৷ তারা মাছ বা কাঁকড়া বা কচ্ছপ, সব কিছুই খায়৷
ছোট থেকে বড়
পৃথিবীতে প্রায় আড়াই’শ প্রজাতির হাঙর আছে৷ তাদের সকলের আকার বা আগ্রাসনের প্রকৃতি ও পর্যায় আলাদা৷ স্যান্ড টাইগার শার্কের ওজন প্রায় ১৬০ কিলোগ্রাম অবধি হতে পারে, দৈর্ঘ্যে তারা তিন মিটার ছাড়াতে পারে৷ বিরাট মুখ আর দাঁতকপাটি লাগানোর মতো দাঁতের পাটি থাকা সত্ত্বেও স্যান্ড টাইগার শার্করা কিন্তু আসলে শান্তশিষ্ট ল্যাজবিশিষ্ট৷ না চটালে তারা আক্রমণ করে না৷
শার্ক ফিন সুপের লোভে
হাঙরের পাখনার সুপ খুব সৌখিন সাহেবি খাবার৷ সেজন্য যে প্রতিবছর কত হাঙরকে প্রাণ দিতে হয়, তা জানা নেই, হয়ত দশ কোটি, এমনও শোনা গেছে৷ ফিন বা পাখনাটা হাঙর জীবন্ত থাকা অবস্থায় কেটে ফেলতে হয় – একে বলে ফিনিং৷ তারপর জীবগুলোকে আবার সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয়, সেখানেই তারা মরে – যদি তারা তখনও জীবিত থাকে৷ ভালো রেস্টুরেন্টে এক প্লেট শার্ক ফিন সুপের দাম একশ ডলার অবধি হতে পারে৷
হাঙররা কত বয়স অবধি বাঁচে?
গ্রিনল্যান্ড শার্ক নামধারী হাঙরগুলো নাকি ৪০০ বছর বয়স অবধি বাঁচে, বলে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে৷ অথচ গ্রিনল্যান্ড শার্ক কখনো কোনো মানুষকে আক্রমণ করেছে বলে শোনা যায়নি৷ তারা ঠান্ডা জলে থাকতে ভালোবাসে, ধীরেসুস্থে নড়াচড়া করে৷ এমনকি তাদের বিয়ে করার বয়স নাকি ১৫০ বছর!
বিশাল মানেই যে বিপজ্জনক, এমন নয়
হোয়েল শার্ক বা তিমি হাঙররা দৈর্ঘ্যে ১৮ মিটার লম্বা হতে পারে, বলতে কি, সাগরে তারাই সবচেয়ে বড় মাছ৷ অথচ তারা খায় শুধু অতি ক্ষুদ্র প্ল্যাঙ্কটন! কিন্তু তিমি হাঙররাও আজ বিপন্ন৷ তাদের পাখনা, তেল অথবা মাংস, সব কিছুর চাহিদা আছে৷ আর আছে টুরিস্ট-ভর্তি ইকো-টুরিজম বোটগুলোর সঙ্গে সংঘর্ষের বিপদ৷
লেমন শার্ক
এরা হলো হাঙরদের মধ্যে ভালোমানুষ, খুবই অনাগ্রাসী বলে পরিচিত৷ আজ অবধি লেমন শার্কদের আক্রমণে কোনো মানুষ মারা গেছে বলে শোনা যায়নি৷ লেমন শার্করা দল বেঁধে থাকে৷ দলের মধ্যেও খুব একটা মারামারি, কামড়া-কামড়ি হয় না৷