চেকদের প্রলুব্ধ করে না আর জার্মানি
১ মে ২০১১দুই দশক আগেও বেশিরভাগ চেকই প্রতিবেশী অষ্ট্রিয়া বা জার্মানিতে জীবনযাপন বা কাজ করার সুযোগ খুঁজতেন৷ তাদের সেই স্বপ্ন পূরণে পয়লা মে থেকে আর কোন বাধা থাকবে না৷ চেক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা জার্মানিতে অবাধে কাজ করতে পারবেন৷ কিন্তু অদক্ষ চেক শ্রমিকরা দেশ ছাড়ার তেমন কোন উৎসাহ খুঁজে পাচ্ছেন না৷
চেক-জার্মান চেম্বার অফ কমার্সের মুখপাত্র হানেস লাখমান বললেন, জার্মানিতে কর্মরত চেক - বিশেষ করে উচ্চ যোগ্যতা সম্পন্ন চেক যারা, তাদের ব্যপারে ভুল ধারণা রয়েছে৷ তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকেই চেক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের জার্মানিতে কাজ করার অনুমতি আছে৷ চেক প্রজাতন্ত্রের গ্র্যাজুয়েটদের জন্যে অবশ্য বর্তমানেও জার্মানিতে কাজ করার ব্যপারে কোন বাধা নেই৷ বিশেষ করে যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্যে৷
জার্মানির ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির জন্যে চারলাখ দক্ষ শ্রমিক প্রয়োজন৷ এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার চেক জার্মানিতে কাজ করার জন্যে বৈধভাবে তালিকাবদ্ধ হয়েছেন৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, পয়লা মে থেকে যখন শুধু গ্র্যাজুয়েট নয়, সব চেক নাগরিকদের জন্যে জার্মানির শ্রম বাজার মুক্ত করে দেওয়া হবে, তখনও অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হবে বলে তারা মনে করছেন না৷
চেক অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস অ্যান্ড চার্লস ইউনিভার্সিটির অভিবাসন সংক্রান্ত বিশ্লেষক ডানিয়েল মিউনিখ বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘চেক প্রজাতন্ত্রে জীবন যাত্রার মান সত্যিই খুব উঁচু৷'' তিনি আরো বলেন, অন্তত অনেক চেকের কাছেই প্রকৃত বেতন আর ক্রয়ক্ষমতা পোল্যান্ডের চেয়ে বেশি৷ তিনি বলেন, আর তাই বেশিরভাগ চেকের কাছেই অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কারণ বিবেচনা করে জার্মানি অথবা অষ্ট্রিয়াতে যাওয়াটা খুব একটা আকর্ষণীয় সুযোগ বলে মনে হয় না৷ চেক প্রজাতন্ত্রের সমাজ কল্যাণ ব্য বস্থাও উন্নততর বলে তিনি মনে করেন৷
সীমান্ত পেরোলেই বেতনটা বেশি হতে পারে কিন্তু জিনিসপত্রের দামও তো অনেক বেশি৷ আর ইউরোর মুখোমুখি চেক মুদ্রা ক্রাউন অনেক দিন ধরেই বেশ শক্ত সমর্থ৷ ফলে আত্মীয় পরিজন বন্ধু বান্ধব ছেড়ে কেন আর পাড়ি দেবেন তাঁরা ভিন ভাষার দেশে?
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক