চুইংগামের গুণাগুণ আর তার গল্প
অনেকেই চুইংগাম চিবিয়ে থাকেন, কেউ এর গুণ জেনে আবার কেউ বা না জেনে৷ চলুন জেনে নেওয়া যাক চুইংগামের গুণাগুণ আর ইতিকথা৷
চুইংগাম চিবিয়ে সজীব থাকুন
অল্প বয়সিদের অনেকেই সারাক্ষণ চুইংগাম চিবায়, যা দেখতে হয়ত তেমন ভালো লাগেনা৷ তবে এর কিন্তু গুণ রয়েছে অনেক৷ দাঁতের ফাঁকে খাবার জমে থাকার কারণেই হোক আর ওষুধ সেবন বা অন্য যে কোনো কারণে হোক, অনেকের মুখেই গন্ধ হয়৷ মুখের ভেতর শুকনো লাগে, অর্থাৎ লালা শুকিয়ে যায়৷ মুখের গন্ধ দূর করতে এবং মুখের ভেতরের শুকনোভাব কাটিয়ে তুলতে চুইংগামের তুলনা নেই৷
চুইংগামের জন্ম
১৮৪৮ সালে প্রথম জন বি কার্টিস নামের একজন অ্যামেরিকান চুইংগাম তৈরি করেন৷ গাছের বাকলের আঠালো কষ এবং চিনি থেকেই সে সময় চুইংগাম তৈরি করা হতো বলে শোনা যায়৷ ১৮৭১ সালে নিউ ইয়র্কে থমাস অ্যাডাম এবং ১৮৯১ সালে উইলিয়াম উইগলি চুইংগাম বিক্রি শুরু করেন, যার পর থেকে আস্তে আস্তে চুইংগাম জনপ্রিয়তা পাওয়া শুরে করে৷
নিজেই পরীক্ষা করুন
জার্মানির ম্যুন্সটার বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিকের দন্ত বিভাগের প্রধান প্রফেসার বেনইয়ামিন এমকে বলেন, চুইংগামের মাধ্যমে খুব সহজেই মুখের গন্ধ দূর করা সম্ভব৷ মুখের গন্ধ দূর করতে এবং মুখকে সজীব রাখতে নিজেরাই চুইংগাম চিবিয়ে পরীক্ষা করে দেখুন৷
তাড়াতাড়ি সুস্থ
অন্ত্র অপারেশনের পর চুইংগাম চিবালে নাকি রোগী তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে, এমনটাই বলছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা৷ শুধু তাই নয়, চুইংগাম চিবানোর সময় জিভ এবং দাঁত একসাথেই পরিষ্কার হয়ে যায়৷
চিনি ছাড়া চুইংগাম
যাঁরা চিনি খেতে চাননা, চিনি খাওয়াতে অসুবিধা রয়েছে বা স্বাস্থ্য সচেতন, তাঁদের জন্য ১৯৭৬ সালে প্রথম চিনি ছাড়া চুইংগাম বাজারে আসে৷ এতে করে কেউই চুইংগামের গুণ থেকে বঞ্চিত হন না৷ চিনির কারণে মুখে ব্যাক্টেরিয়া খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়৷ বলা বাহুল্য, এই বংশ বিস্তারের কাজই কমাতে সাহায্য করে চুইংগাম৷
ঠিক জায়গায় ফেলুন
তবে চুইংগামটি চিবিয়ে যেখানে সেখানে ফেলে দেবেন না, তাহলে কি ধরনের সমস্যা হয় দেখুন ছবিটিতে৷ তাই ঠিক জায়গায় ফেলুন আপনার চুইংগামটি৷ চুইংগাম অবশ্য গিলে ফেললেও শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না৷
চুইংগাম আসলে কি?
১৯৫৪ সালে চুইংগাম শব্দটি প্রথমবারের মতো অভিধানে ঠাঁই পায়৷ চিবিয়ে, অর্থাৎ ‘চিউ’ করে খাওয়া হয় বলেই এর নাম ‘চুইংগাম’৷
অর্গানিক চুইংগাম
২০০৯ সালে শতকরা ১০০ ভাগ অর্গানিক উপায়ে চুইংগাম তৈরি করা হয়৷ এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য সচেতনতার দিকটা বিশেষভাবে খেয়াল রাখা হয়৷
৬৫১ মিলিয়ন ইউরোর চুইংগাম
২০১২ সালে জার্মানরা ৬৫১ মিলিয়ন ইউরোর চুইংগাম কিনেছেন৷ কাজেই বোঝা যাচ্ছে যে, শুধু অল্প বয়সি ছেলে-মেয়ে নয় সব বয়সিরাই জার্মানিতে চুইংগাম চিবিয়ে নিজেকে সজীব রাখেন৷