1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীন সাইবার আক্রমণের নিন্দা করল

২২ ডিসেম্বর ২০১৪

তবে উত্তর কোরিয়ার নাম না করে৷ বলতে কি, দক্ষিণ কোরিয়া কিংবা জাপানের সর্বাধুনিক প্রতিক্রিয়াও অনুরূপ৷ তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা এখনও ‘‘সমুচিত প্রতিক্রিয়ার’’ কথা বলছেন, যদিও তাঁর হাতে বিকল্প বিশেষ নেই৷

https://p.dw.com/p/1E8UV
New York The Interview Filmplakat 18.12.2014
ছবি: picture-alliance/epa/Justin Lane

‘সোনি পিকচার্স'-কে হ্যাক করা নিয়ে চীনের মনোভাব জ্ঞাতই ছিল, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবার সেটা ‘‘পুনরায় স্পষ্ট করে দিলেন এবং বিশেষভাবে উল্লেখ করলেন যে, চীন সব ধরনের সাইবার আক্রমণ ও সাইবার সন্ত্রাসবাদের বিরোধী''৷ বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে: ‘‘কোনো দেশ বা ব্যক্তি যে অপর একটি দেশের অভ্যন্তরীণ পরিষেবার সুযোগ নিয়ে তৃতীয় দেশের উপর সাইবার আক্রমণ চালাবে, চীন তার বিরোধী৷'' তবে বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার নাম করা হয়নি৷

Obama Jahresend-Pressekonferenz 19.12.2014
এই সাইবার আক্রমণটি ছিল ‘‘অ্যাক্ট অফ ওয়ার'': মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাছবি: C.Somodevilla/Getty Images

অপরদিকে দক্ষিণ কোরিয়া আজ সোমবার জানিয়েছে যে, কে বা কারা দক্ষিণ কোরিয়ার পারমাণবিক চুল্লিগুলির অপারেশন সিস্টেমের কম্পিউটার হ্যাক করে কিছু ‘নন-ক্রিটিকাল', অর্থাৎ অ-গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করেছে৷ তবে প্ল্যান্টগুলির নিয়ন্ত্রণ প্রণালী এমনভাবে তৈরি যে এই হ্যাকিং থেকে কোনো ঝুঁকি নেই বলেই উপ-জ্বালানি মন্ত্রী চুং ইয়াং-হো মন্তব্য করেছেন৷ এবং তিনিও দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো উল্লেখ করেননি৷

জাপান সোনি পিকচার্সের উপর সাইবার আক্রমণের তীব্র নিন্দা করলেও, সরাসরি উত্তর কোরিয়ার উপর দোষারোপ করেনি৷ জাপান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে চলেছে এবং ঘটনার মোকাবিলা করায় সাহায্য করছে, বলে জাপানের চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিহিদে সুগা জানিয়েছেন৷ কিন্তু উত্তর কোরিয়াই যে এই সাইবার আক্রমণের জন্য দায়ী, জাপান সে বিষয়ে নিশ্চিত কিনা – সুগা এ প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি৷

Kim Jong Un mit Stock 14.10.2014
‘‘দ্য ইন্টারভিউ'' ছবিতে কিম জং উন-কে হত্যার পরিকল্পনা দেখানো হয়েছিল...ছবি: Reuters/KCNA

উত্তর কোরিয়ার তরফ থেকে সর্বাধুনিক ঘোষণা হলো: ‘‘(হ্যাকাররা) কে অথবা কোথায়, তা আমরা জানি না, কিন্তু আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি, তারা ডিপিআরকে-র সমর্থক এবং (ডিপিআরকে-র প্রতি) সহানুভূতিশীল,'' লিখেছে উত্তর কোরিয়ার সরকারি কেসিএনএ সংবাদ সংস্থা৷ ডেমোক্র্যাটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া বা ডিপিআরকে হলো উত্তর কোরিয়ার পোষাকি নাম৷ যথারীতি এর সঙ্গে রয়েছে ‘‘হোয়াইট হাউস, পেন্টাগন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমগ্র রাজ্যাঞ্চলের বিরুদ্ধে'' ‘‘আমাদের সবচেয়ে জোরালো পাল্টা পদক্ষেপের'' হুমকি৷

ওদিকে ওবামা রবিবার সংবাদ সংস্থা সিএনএন-কে বলেছেন যে, তিনি এই সাইবার আক্রমণকে একটি ‘‘অ্যাক্ট অফ ওয়ার'' বা যুদ্ধের পদক্ষেপ বলে মনে করেন না৷ তিনি এটাকে ‘‘অ্যাক্ট অফ সাইবার ভ্যান্ডালিজম'' বা সাইবার ভাঙচুরের নিদর্শন বলে অভিহিত করেছেন৷ রিপাবলিকান সেনেটর জন ম্যাককেইন-এর মতে কিন্তু সোনির হ্যাকিং ‘‘এক নতুন ধরনের যুদ্ধশাস্ত্র'' – সিএনএন-কে ম্যাককেইন সে'রকমই বলেছেন৷

সোনি পিকচার্স এন্টারটেইনমেন্ট জানিয়েছে যে, ডিস্ট্রিবিউটররা ছবিটি দেখাতে অস্বীকার করার কারণেই ‘‘দ্য ইন্টারভিউ'' ছবিটির মুক্তি বাতিল করা হয়েছে৷ তবে সোনি এখনো ছবিটি প্রদর্শনের পন্থা খুঁজছে, বলে সিইও মাইকেল লিন্টন জানিয়েছেন৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান